ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রায়হান আহমেদ (৩০) নামে এক বাংলাদেশি। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এই রায় দেন আদালত।
গত ২০২২ সালের ১০ মার্চ রায়হান আহমেদ ও ফয়সাল আলম (৩৬) নামের দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ৩৮ বছর বয়সি এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠে। অভিযোগে বলা হয়, তারা জুরংয়ের পাইওনিয়ার রোডের তুয়াস ভায়াডাক্টের নিচে ৩২ বছর বয়সী ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
প্রসিকিউটর জানান, ২০২২ সালের ৭ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফয়সাল ও রায়হান ট্রেনে করে তাদের হোস্টেলে ফেরার পথে তাদের পাশের ট্রেনের বগিতে থাকা ওই নারীকে লক্ষ্য করেন। সেই মুহূর্তে ওই নারী প্রচণ্ড নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন।
ট্রেনটি তুয়াস ওয়েস্ট রোড স্টেশনে পৌঁছালে তারা ওই নারীকে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা ওই নারীর হাত ধরে তুয়াস ভায়াডাক্টের নীচে অন্ধকার একটি জায়গার বড় কংক্রিটের দেয়ালের পাশে নিয়ে যান।
প্রথমে রায়হান ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ফয়সাল তাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হন কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি। এরপর রায়হান দ্বিতীয়বার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
এরপর ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এক চীনা নাগরিক সাইকেল চালিয়ে মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ওই নারীকে আংশিক বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক ওই নারীর সঙ্গে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান।
ধর্ষণের অভিযোগে সিঙ্গাপুরের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি কমান্ড ও জুরং পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাপক অনুসন্ধানের মাধ্যমে রায়হান ও ফয়সালকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।
বিচারে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রায়হান। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তার সাজা ঘোষণা করা হয়। আরেক আসামি ফয়সালের বিরুদ্ধে মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
রায়হান আহমেদ ও ফয়সাল আলম একই নির্মাণ প্রকল্পে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করতেন এবং একই হোস্টেলে থাকতেন বলে জানা যায়। উৎস: সময়নিউজটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :