যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ মারা গেছেন, নিজেই পুলিশকে ফোন করে গুলি করার খবর দিয়েছে ‘ঘাতক’।
নিহতের নাম রওনক হাসান রিটন (২০), বাবা আতাউর রহমান লিটন। ১৯৯৮ সাল থেকে পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী।
নিউ ইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ৩৭৭ মাইল দূরে বাফেলো শহরের সিডার রোডে শনিবার বিকেলে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানান বাফেলোর চিকটোয়াগা পুলিশের প্রধান ক্যাপ্টেন জেফরি স্মিডট।
তিনি জানান, “গুলি করে হত্যার তথ্য কাছের পুলিশ স্টেশনে ফোন করে জানায় ঘাতক। ব্যবহৃত বন্দুকটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের পরই নিশ্চিত করা যাবে হত্যার রহস্য।”
ঘটনার সময় রিটনের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠী হামেদ লতিফ বলেন, “আমরা প্রায় দিনই সেখানে আড্ডা দিই। রিটনের বাসার সামনে জায়গাটি হচ্ছে শহরের পার্কিং স্পট। আমাদের আড্ডায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ওই তরুণ তার গাড়ি পার্ক করতে চেয়েছিল। রিটন তাকে অনুরোধ জানান অন্যত্র পার্ক করার জন্য।
“এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে বন্দুক বের করে রিটনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তরুণটি। এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে ছটফট করছিলেন রিটন। এমন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সসহ পুলিশ আসে এবং আহত অবস্থায় রিটনকে অ্যারি কাউন্টি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, রিটন বেঁচে নেই।”
তদন্ত এবং দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা চেয়ে চিকটোয়াগা ডিটেকটিভ ব্যুরোর ৭১৬-৬৮৬-৩৫১০ নম্বরে ফোন করে খোঁজ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নিহত তরুণের বাবা আতাউর রহমান লিটনসহ স্বজনরা মনে করছেন, এটি ‘ধর্ম ও জাতি বিদ্বেষ’ থেকে হত্যা। এখন পর্যন্ত ঘাতক গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রবাসীরা। ওই এলাকায় কয়েক মাস আগেও নিজের বাসায় কাজের সময় একজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রিটনের জানাজা বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোররাতে বাফেলো মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠানের পর দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানান। উৎস : বিডিনিউজ২৪
আপনার মতামত লিখুন :