শিরোনাম
◈ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া সৌদি স্বীকৃতি দেবে নাইসরাইলকে ◈ জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ এবার ১১ ধাপ এগিয়ে ◈ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ গ্রেপ্তার ◈ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে মিশ্র বার্তা কেন ? ◈ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস ◈ গিটেন্সের জোড়া গোল, শুভ সূচনা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ◈ নারী বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও দল পাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ◈ পিটিয়ে হত্যার আগে তোফাজ্জলকে ভাত খেতে দিয়েছিল ঢাবি শিক্ষার্থীরা ◈ যৌথবাহিনীর অভিযান: ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪ ◈ আমেরিকায় একান্ত বৈঠক হবে না মোদী-ইউনূসের : আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাই

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৩৪ রাত
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭ হাজার ১৪ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এলো মাত্র সাত দিনে

মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সাতদিনেই বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার করে প্রবাসী আয়। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারাবাহিকতা থাকলে চলতি মাসে আড়াই বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

আলোচিত সাতদিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। রেমিট্যান্স বেশি আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। প্রবাসীদের কাছে পৌঁছানো আর ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এতে বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসের পুরো সময়ে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠান প্রবাসীরা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়