ইমন হোসেন: [২] করোনা পরবর্তী সময়ে নারী কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার সংখ্যা কিছুটা কমলেও ২০২২ সালেও সেই সংখ্যা এক লাখের উপরে ছিল। কিন্তু গত বছর তা কমে এক লাখের নিচে নেমে এসছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়েছেন ৭৬ হাজার ১০৮ জন নারী কর্মী। এ বছরের শুরুর চার মাসে নারীদের অভিবাসী হওয়ার হার আরো কমেছে। (বিবিসি ২৯-০৬-২০২৪)
[৩] জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৯১ জন নারী শ্রমিক বিভিন্ন দেশে যান। নারী কর্মীরা সবচেয়ে বেশি যান সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, জর্ডান, ওমান ও সিঙ্গাপুরে। অভিবাসী নারীদের বড় অংশ গৃহকর্মী হিসেবে যান সৌদি আরবে। (নিউজ২৪ টিভি)
[৪] গত কয়েক বছরের তথ্যে দেখা গেছে, সৌদি আরব থেকে নির্যাতিত হয়ে ফিরে এসেছেন অসংখ্য নারী। এছাড়া সেখানে কাজ করতে গিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু ছাড়াও আত্মহত্যা ও খুনের শিকার হয়েছেন অনেকে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনার কারণে নারী কর্মীদের বিদেশ যাওয়ায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। (আলোকিত বাংলাদেশ ০২-০৭-২০২৪)
[৫] সূত্র বলছে, গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে খালি হাতে দেশে ফিরে এসেছেন ৮৬ হাজার ৬২১ জন কর্মী। এর মধ্যে নারী কর্মী আছেন ২ হাজার ৯০২ জন। সর্বশেষ দেশে ফিরেছেন ২৪৯ জন নারী। (প্রথম আলো)
[৬] জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক শাহ আবদুল তারিক বলেন, শারীরিক নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে নারীদের অভিজ্ঞতা ভালো না। তাই গৃহকর্মী হিসেবে নারীদের বিদেশ যাওয়া কমেছে। কারণ এ পেশায় নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যান না। কিন্তু অন্য পেশায় প্রশিক্ষণ নিয়ে যাচ্ছেন। (সময় টিভি )। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :