ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: [২] সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের রাজধানী দাম্মামে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মো: ফরিদ মিয়া (২৮) নামে এক বাংলাদেশী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
[৩] গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত দুইটা) বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মো: ফরিদ মিয়া কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো: আবদুল কাদির।
[৪] ফরিদের ছোট ভাই নয়ন মিয়া বলেন, তার বড় ভাই (ফরিদ) গ্রামের বাড়িতে কৃষি কাজের পাশাপাশি নিজের অটোরিকশা চালাতেন। গত আড়াই বছর আগে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে নির্মাণ কাজের সুপারভাইজারের দায়িত্ব পান তিনি। গত বছর তাকেও তিনি সৌদিতে নিয়ে যান।
[৫] মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রেখে গেছেন। রোববার বিকেলে ফরিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের পরিবেশ। মরদেহ কবে আসছে এই খবর জানার জন্য লোকজন বাড়িতে ভিড় জমায়।
[৬] তার বাবা আব্দুল কাদির বলেন, ‘ফরিদ আমার বড় ছেলে। বাড়িতেও পরিশ্রমী ছিল। সংসারের উন্নত করার জন্য বিদেশে গিয়েছিল। প্রথমে কষ্ট করলেও সেখানে পরে তার ভালো অবস্থান তৈরি হয়। মেজো ভাইটাকে তার কাছে নিয়ে যায়। ছোট ভাই সুজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। আমার পুত নাই পুরা সংসারই এখন এলোমেলো হয়ে গেল। আমি কি করে সব সামলাবো। আমার ছেলের মরদেহ দ্রুত দেশে নিয়ে আসতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :