ইকবাল খান: [২] ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টি নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার বাংলাদেশিদের নিয়ে কটাক্ষ করার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে বিরোধী লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার সাবিনা আক্তার। সূত্র: বিবিসি

[৩] এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে সাবিনা আক্তার বলেছেন, ‘দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’ 

[৪] সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডেইলি সান’ আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যদি কেউ আসে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, বর্তমান সরকারের তেমন কোনো প্রক্রিয়া নেই। ক্ষমতায় এলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’ 
 
[৫] পদত্যাগপত্রে সাবিনা আক্তার লিখেছেন, ‘আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং লেবার পার্টির একজন গর্বিত সদস্য ছিলাম। তবে আমি এই দলটি নিয়ে আর গর্ব করতে পারি না, যখন দলের নেতা আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে দেয় এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে।’ 

[৬] সাবিনা আরও লিখেছেন, ‘আমি সারা জীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এটি (দলের নেতার মন্তব্য) গ্রহণযোগ্য নয়।’

[৭] বিলুপ্ত পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টি এমপি রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম নিজ দলের নেতার ওই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

[৮] এই সমালোচনার পর বৃহস্পতিবার স্টাফোর্ডশায়ারে এক নির্বাচনী প্রচারণায় লেবার পার্টি নেতা স্টার্মার বলেন, ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশি, যারা আমাদের দেশের জন্য এত বড় অবদান রাখছেন, তাদের উদ্বেগ বা আঘাত করার উদ্দেশ্য মোটেও ছিল না।’ তিনি দাবি করেন, যদি লেবার পার্টি নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে তিনি ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দলের ‘অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চান।