শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২২, ০২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২২, ০৩:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীর জামিন

ফজলে এলাহী

হারুন চৌধুরী: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে জামিন দিয়েছে আদালত।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা বেগম মুক্তা বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে জামিন দেন। এর আগে বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে আদালতে তুলে জামিনের আবেদন করা হয়।

২০২১ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হওয়া মামলায় ফজলে এলাহীকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

ফজলে এলাহী জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক।

কোতোয়ালি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থানা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের ওয়ারেন্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২১ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার প্রসেস নম্বর ৮১৭/২২। মামলা নম্বর- ২৮/২১।

মামলার পরোয়ানায় বাদীর নামের জায়গায় নাজনীন আনোয়ার লেখা রয়েছে। তবে নাজনীনের মা সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর দাবি, তিনিই মামলাটি করেছেন। চিনু বর্তমানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

মামলার বিষয়ে চিনু বলেন, ডিসি বাংলো পার্কে আমার মেয়ে লিজ নিয়ে রেস্টুরেন্ট দেয়। ৩ বছরের জন্য লিজ ছিল, বিনিয়োগ করেছিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিসি পরিবর্তন হলে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ডিসি অফিসের লোকজনের সঙ্গে রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের বিবাদ হয়।  সে সময় এলাহী নিউজ করে যে এই লিজ পেতে আমি আমার প্রভাব খাটিয়েছি। সে আপত্তিকর কথাবার্তা লিখেছে। আমি তখন কোর্টে মামলা করেছি।

পরোয়ানায় মেয়ের নাম থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়ের নাম কেন দিয়েছে জানি না, বাদী আমি-ই।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন বলেন,  কোনো ব্যক্তি মামলা করার পর যদি পরিচালনার পাওয়ার অন্য কাউকে দেয়, তাহলে ওয়ারেন্ট ইস্যুতে পরিচালনাকারীর নাম থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয় না।

ফজলে এলাহীর স্ত্রী সেলিনা সুমি বলেন, চিনুর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে একটি নিউজ করেছিলেন আমার হাজব্যান্ড। সেটা ডিসি পার্কের একটি রেস্টুরেন্টের লিজ নেয়া বিষয়ে। হঠাৎ আজকে পুলিশ এসে জানাল তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট। আমরা কিছুই জানতাম না।

গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন সাংবাদিক ফজলে এলাহী। তাতে তিনি বলেন, ফিরোজা বেগম চিনু ও তার মেয়ের মামলায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট দেখিয়ে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ... সাংবাদিকতার এই প্রতিদান? আমার মৃত্যুর জন্য চিনু ও তার মেয়েকে দায়ী করে গেলাম...... রাঙামাটিবাসী এদের বিচার করিও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়