শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২৩, ১১:০০ রাত
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৩, ০৭:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রথম আলোর ঘটনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা দিবসে এক শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন একজনের বক্তব্য সংযোজন করে ফটো কার্ড বানিয়ে সংবাদ প্রকাশে প্রথম আলোর দায়িত্বহীন ও অপেশাদার সাংবাদিকতার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানিয়েছে সংবাদিকদের সংগঠনটি। একাত্তর টিভি অনলাইন

রোববার (২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এই উদ্বেগের কথা বলা হয়।  

এসময় বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদপত্রের কাছে এধরনের অপেশাদার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়, যা খুবই দুঃখজনক।

সভায় বক্তারা বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রথম আলোর মতো একটি পত্রিকার কাছে সবাই দায়িত্বশীলতা আশা করে।

সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে গভীর উদ্বেগ জানায় কমিটি। সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের বেলায় এই আইন প্রয়োগের আগে উত্থাপিত অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তা প্রেস কাউন্সিলে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল বলে মনে করে কমিটি। 

এছাড়া বৈঠকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশের আলোকে দ্রুত এই আইনের কিছু ধারা সংশোধন এবং আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধও জানানো হয়। কমিটি আশা করে দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান হবে। 

এদিকে বৈঠকে সম্প্রতি বিএনপির একটি ইফতার মাহফিলের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলারও তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া, আশরাফ আলী, সদস্য ফরিদ হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, সৈয়দ আবদাল আহমদ ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে একজন শ্রমজীবীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব’। এ মন্তব্য ধরেই খবরটির শিরোনাম করা হয়। তবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ফটোকার্ডে ছবি দেয়া হয় আরেকটি শিশুর। এ ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। প্রতিবেদনটিতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ উপাদান থাকার কথাও বলা হচ্ছে।

পরদিন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাত্তর টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। তাতে দাবি করা হয়, একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে সেই কথা বলানো হয়েছে।

পরে অবশ্য দৈনিক প্রথম আলো প্রতিবেদন থেকে ছবি সরিয়ে শিরোনাম বদলে দেয়। পাশাপাশি সামাজিকমাধ্যমে দেয়া তাদের পোস্টও প্রত্যাহার করে নেয়। প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতা গোলাম কিবরিয়া। সেই মামলায় কেবল শামসকেই আসামি করা হয়।

পরে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, জাতির জন্য মানহানিকর’ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী মশিউর মালেক।

এমএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়