মনজুর এ আজিজ : বন্ধন আর বন্ধুত্ব এক দুয়ারে মিশেছে। আলিঙ্গন যেন সম্পর্কের এক একটি প্রাচীর। প্রথমবারের মতো এমনই এক আনন্দের মিলন মেলা বসেছিল গাজীপুরের হিজল তমাল পিকনিক স্পটে। কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার এই আয়োজনে এসেছিলেন কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত খ্যাতিমান সাংবাদিকরা। এই আয়োজন শুরু হয় রাজধানী ঢাকা থেকে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে একে একে ছাড়তে শুরু করে যানবাহন। এরপর সেখানে পৌঁছে নাস্তার পর চলতে থাকে একেরপর এক ইভেন্ট।
চমকপ্রদ সব আয়োজনে মাতোয়ারা হয়ে উঠেন সবাই। নেচে গেয়ে চলতে থাকে এই অনুষ্ঠান। শিশু বৃদ্ধ সবাই এক কাতারে এসে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। দুপুর গড়াতেই সব খেলার আয়োজন শেষ হয়ে যায়। খাবার পর্বের পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণের পালা। একে একে সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি, খ্যাতিমান সাংবাদিক রেজোয়ানুল হক রাজা। সঙ্গে ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক সনৎ নন্দী, সাংবাদিকতায় জাতীয় পুরস্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মাহমুদ হাফিজসহ আরো অনেকে।
ফোরামের সভাপতি খ্যাতিমান সাংবাদিক রেজোয়ানুল হক রাজা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আয়োজন সু-সম্পন্ন হয়েছে। আমরা কুষ্টিয়ার এই বন্ধন অটুট থাকবে। আগামী দিনে আরও ভালো কিছু হবে। করতালিতে জেগে উঠলেন সবাই। আয়োজন সম্পন্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করায় সাংবাদিক রনজক রিজভী এবং মনিরুল ইসলাম মনির নামও উচ্চারণ করলেন তিনি। পাশাপাশি আয়োজন সফল করায় সকলকেই ধন্যবাদ জানান তিনি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফোরামের সহ-সভাপতি মাহমুদ হাফিজ বলেন, এই সফল আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আমরা কুষ্টিয়ার সন্তান, আমরা সবাই ভাই ভাই বন্ধনে আবদ্ধ।
অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে শিল্পী মিলন মাহমুদ এসে শুনিয়ে গেলেন গান। দুটি গানের মূর্ছনা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। তাকেও ধন্যবাদসহ কেজেএফডি’র পক্ষ থেকে তুলে দেয়া হয় উপহার সামগ্রী। এরপর র্যাফেল ড্র পরিচালনা করেন রেজোয়ানুল হক রাজা এবং রনজক রিজভী। এতে সহযোগিতা করেন সনৎ নন্দী ও মাহমুদ হাফিজ।
হাস্য-রসাত্মক পরিবেশে ৩৩ জন গ্রহণ করেন র্যাফেল ড্র পুরস্কার। সবশেষে গ্রুপ ফটোসেশনের মাধ্যমে শেষ হয় কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার স্বজন সম্মেলন ও মিলন মেলা- ২০২৩। এই আয়োজনের কো-স্পন্সর থেকে পাশে ছিল গণমাধ্যমে নতুন উদ্যোগ- এই মাত্র।
এমএএ/এএ
আপনার মতামত লিখুন :