শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-নেপাল নারী সাংবাদিক মতবিনিময় 

বাংলাদেশ-নেপাল নারী সাংবাদিক মতবিনিময় 

শাহীন খন্দকার: বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস) আয়োজিত বাংলাদেশ এন্ড  নেপাল নারী সাংবাদিক মত বিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বানাসাসের সভাপতি নাসিমা সোমা বলেন, সাংবাদিকতা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি পেশার নাম। তারপরও এ পেশাতে নারীদের অংশগ্রহণ বহু আগে থেকেই। বাংলাদেশে নারীদের সাংবাদিকতায় পদচারণা শুরু হয় ব্রিটিশ আমল থেকেই। তখন নারী সাংবাদিকদের আগমন ঘটে সাময়িকী সম্পাদনার মাধ্যমে। তিনি বলেন, প্রথম সাময়িকী পাক্ষিক ‘বঙ্গমহিলা’ সম্পাদনা করেছিলেন একজন নারী। মোক্ষম দায়িনী মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭০ সালের ১৪ এপ্রিল।

সোমা বলেন, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘বেগম’ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয় ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই। তবে বেগম পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন সুফিয়া কামাল। বেগমের শুরুতে নূরজাহান বেগম ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, পরে সম্পাদকের দায়িত্ব নেন এবং আমৃত্যু বেগম পত্রিকার হাল ধরে জীবন পার করে দিয়েছেন তিনি। রোববার নয়াপল্টন হোটেল মিডনাইট সান-৩ এর হল রোমে বানাসস আয়োজিত আলোচনা সভায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বাস্থ্য টিবি অনলাইন নেপাল এর স্বাস্থ্য প্রধান সম্পাদক, স্বাস্থ্য সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি  কল্পনা আচারয়া বলেন, নেপালী নারী সাংবাদিকদের সামাজিক পারিবারিক নানা সমস্যা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে।

এ পেশার পরিধি এখন শুধু সংবাদপত্র,রেডিও এবং টেলিভিশন চ্যানেলেই সীমাবদ্ধ নেই, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইন মিডিয়া। প্রতিটি গণমাধ্যমই এখন নারী সাংবাদিকদের দীপ্ত পদচারণায় মুখর। তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ এবং নেপালের নারী সাংবাদিকদের নিয়ে নেপালে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঘ্রাটানা রা বিচার নেপালের এর সম্পাদক ববিতা বাসনেত বলেন, আমি আজকের অবস্থানে এসেছি একজন পুরুষ সাংবাদিকের সঙ্গে মেধার প্রতিযোগিতা করেই। নেপালের নারী সাংবাদিকরা আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকরা এগিয়ে আছে এবং আরো এগিয়ে যাবে। নেপালে অধিকাংশ নারী সাংবাদিককে ডেস্কে কাজ করতে হচ্ছে। তারা ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েই স্থান করে অবস্থান করছেন। তিনি আরও বলেন, নেপালে সরকারি টেলিভিশনের সংখ্যা ৪ টি এবং বেসরকারী টেলিভিশন মিডিয়া ৩৮ ,অনলাইনে এফএম রেডি ২৮ সরকারী ও বেসরকারী পএিকা রয়েছে ৭০০ সংখ্যা । শতকরা ২৫ শতাংশ নারী কাজ করছে।

ববিতা বাসনেত নেপাল থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় কয়েকটি পত্রিকার নাম ও বলেন, পত্রিকাগুলো কান্তিপুর ন্যাশনাল ডেইলি নেপাল সমাচারপত্র, হিমালয়ান টাইমস কাঠমন্ডু পোস্ট রাজধানী ডেইলী বুধবার সাপ্তাহিক জন আস্থা সপ্তাহিক।

এসময়ে আরো বক্তব্য রাখেন পিআইবির পারভীন সুলতানা রাব্বি, বানাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাতেমা মুন্নী, আমাদের অর্থনাতির সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন খন্দকার, বানাসাসে’র সাধারন সম্পাদক ইসরাত ফারহিন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সালমা আহমেদ, সাংবাদিক লাবিল রহমান প্রমুখ।

এসকে/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়