জাফর খান: সুয়াত ইয়েনিপিনারের ঘুম ভেঙে যায় তীব্র ঝাঁকুনিত। এ সময় তিনি পাচ তলার একটি এপার্টমেন্টে ছিলেন। জেগে উঠার পরেই তাকে জড়িয়ে ধরে ভবন থেকে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্ত প্রবল ঝাঁকুনিতে দেয়ালগুলো নড়ে উঠলে তাকে আমি নিজের শরীর দিয়ে ঢাকার পরেই ভবনটি ধ্বসে পড়ে। এভাবেই বর্নণা দিচ্ছিলেন ৬০ বছর বয়সী এক স্থানীয় সাংবাদিক তার সঙ্গে রাখা স্মৃতিময় পত্রিকার প্রসঙ্গ তুলে। আল-জাজিরা
বর্তমানে তিনি রেড ক্রিসেন্টের একটি ভ্রাম্যমাণ রান্নঘরে বাস করছেন।
৪৫০ জনেরও বেশী পাজারছিকে মারা যায়। সেখানে একসময় ২৮ হাজার লোকের বাস ছিল। বর্তমানে সরকারী ভাবে ৬৮ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। এ শহরটির অধিকাংশ বাসিন্দারা জার্মান প্রবাসী। আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সূত্রমতে দেখা যায়, এখন শহরটিতে মাত্র চার থেকে পাঁচ হাজার লোক রয়েছেন।
এই ভূমিকম্পে মানুষের মৃত্যু ছাড়াও ইয়েনিপিনারের নিজ সন্তানের মত তার একটি পত্রিকার বেঁচে থাকার স্বপ্নকেও মিশিয়ে দিইয়েছে মাটির নীচে।
‘আকসু হাবের গাজেতেসি’ তার সম্পাদিত এই পত্রিকাটির শেষ মুদ্রণ বেড়িয়েছিল ভূমিকম্পের ঠিক আগে চলতি মাসের ৩ তারিখ।
৪১ হাজার লোক এখন পর্যন্ত মারা গেছে এ ভয়াবহ দূর্যোগে।জীবন পাজারছিলে থেমে গেছে একেবারেই। সব ভবন আমাদের ধ্বসে গেল। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কষ্টের কথাগুলো আওড়াচ্ছিলেন এই সাংবাদিক। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই কারণ উনি আমাদের ভাবনার বাইরে সাহায্য নিয়ে পাশে আছেন।
তবে তিনি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে এক মন্তব্যে বলেন, আমাদেরকে অন্যত্র চলে যেতে বললেও একবারও বলেনি কবে এই শহর পুননির্মাণ হবে। আমি রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করিনা। অনেক অর্থ এসেছে এখন দেখার সময় কবে কখন কিভাবে এগুলো ব্যবহার হয়।
বুধবার পর্যন্ত ৬ বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ হয়েছে দেশটির দুর্যোগকবলিত মানুষদের জন্য।
জেকে/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :