মো. আদনান হোসেন, ধামরাই: বিএনপির কর্মসূচি কভার করতে যাওয়ায় সময় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে যুগান্তরের সাংবাদিক শামীম খানকে সবার সামনে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও তার অনুসারীরা। এসময় সাথে থাকা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় ওই সাংবাদিক কে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাত কোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূএে জানা যায় কাদের মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালায়।
আহত সাংবাদিক শামীম খান ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামার পাড়া গ্রামের মৃত জহির রায়হান খানের ছেলে। বর্তমানে সে ধামরাই পৌরসভার মডেল টাউন এলাকায় থকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কর্মরত আছেন।
জানা যায়- কাদের মোল্লা চেয়ারম্যানের ভাতিজা বক্কর ২০২২ সালে এক কিশোর-কিশোরীকে আটকে চাঁদাবাজি করার ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক হয়ে ৬ মাস কারাগারে ছিল বর্তমানে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের একাধিক জায়গায় সে অবৈধ ভাবে মাটিরলিক পরিচালনা করছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে তার একটি লিকে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায় ও ভেকু সহ জিনিসপত্র জব্দ করে।
ভুক্তভোগী ওইসাংবাদিকের ছেলে ইমরান বলেন,গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লা এক মহিলা মেম্বার পার্থীকে ধর্ষণ করেছিলো। সেই নিউজ সহ দূর্গা পুজার অনুষ্ঠানে ধর্ষিতা ওই নারী চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করে এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল।এছাড়াও কাদের মোল্লা চেয়ারম্যানের একাধিক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যার ফলে আজ আমার আব্বুকে ওই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চেয়ারম্যানের ভাতিজা সহ দশ-বারো জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
এসময় কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ আলামিন হাওলাদার সাংবাদিকের বলেন সন্ত্রাসী হামলাটা খুবই দুঃখজনক আমরা ঘটনা স্থলে যাাই এবং সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
এবিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আতিকুর রহমান সাংবাদিক দের বলেন, সাংবাদিক এর উপর হামলা ঘটনা খুবই দুঃখজনক এই ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যাবস্হা নেয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :