মাছুম বিল্লাহ: ভারতের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরকে উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বন্টনসহ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু, ডেকান হেরাল্ড, হিন্দুস্তান টাইমস, দ্যা টেলিগ্রাফসহ প্রভাবশালী অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া এনডিটিভি, দ্যা প্রিন্ট, জিনিউজ, এশিয়ান নিউজ নেটওয়ার্ক সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফর শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।’
শেখ হাসিনার সফর নিয়ে দ্য হিন্দু লিখেছে, উন্নয়নমূলক অঙ্গনে ইতিবাচক পদক্ষেপ সত্ত্বেও, বাংলাদেশ পশ্চিমা দেশগুলো থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জন্য বাড়তি যাচাই-বাছাইয়ের সম্মুখীন হচ্ছে যা নির্বাচনী আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তা ছাড়া, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান শেখ হাসিনার এজেন্ডায় রয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, সফরের সময় কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি অন্তর্র্বতী চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
সফর নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছে কলকাতার বিখ্যাত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশি কিছু গণমাধ্যমও। সফর উপলক্ষে সম্প্রতি এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এনটিডিভির প্রতিবেদনে বলেছে, শেখ হাসিনার সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি অন্তবর্তীকালীন বণ্টন নিয়ে চুক্তি হতে পারে। যেটি ২৫ আগস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
পিটিআই লিখেছে, দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদীর মধ্যে সাতটির পানিবন্টনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চুক্তির কাঠামো তৈরির চুড়ান্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সফরে পানি বন্টন চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নামে নতুন এক চুক্তি হতে পারে এই সফরে। এ ধরনের বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনব্যবস্থা চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য আরো বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :