জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারার প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার দুপুর ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দুটি ছবি দেন তিনি।
পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন—‘অনুপ্রেরণামূলক তরুণ নেত্রী তাসনিম জারার সঙ্গে।’ দুজনের হাস্যজ্বল সেই ছবিতে ইতোমধ্যে কয়েকটি শেয়ার হয়েছে। এখন পর্যন্ত লাইক পড়েছে ১২ হাজারের মতো।
ডা. তাসনিম জারা ঢাকা জেলায় ১৯৯৫ সালের জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন। তিনি ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেন।
জারা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের একজন চিকিৎসক ও ‘সহায় হেলথ’ এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে, উচ্চতর পড়াশোনা করতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখান থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল (ডিসটিঙ্কশন) অর্জন করে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
এছাড়া তাসনিম যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ান এবং গাইনোকোলজিস্ট থেকে ডিআরসিওজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, এটি নারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের স্বীকৃতি স্বরূপ দেওয়া হয়।
ভ্যাকসিন নিয়ে সচেতনতায় অসামান্য অবদান রাখায় যুক্তরাজ্য সরকার তাসনিম জারাকে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ নামক বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। তার কাজ নিয়ে বিবিসি, টাইমস, স্কাই নিউজ, ইয়াহু ও দ্যা ফিনান্সিয়াল টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংবাদ প্রচার করেন। তিনি ২০২৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাইডি (এফআইডিই) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
তাসনিম জারা বর্তমানে বিশ্বখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে কাজ করছেন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়ান। তিনি যুক্তরাজ্যের হায়ার এডুকেশন একাডেমির একজন সহযোগী ফেলো। তার গবেষণাপত্র ইউরোপ ও আমেরিকার বিখ্যাত জার্নালগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ডের একজন সদস্য।
ডা. তাসনিম জারা সহজ বাংলায় ভিডিও তৈরির মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন৷ বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভিডিওগুলো দেখেন। এ পর্যন্ত তার ভিডিওগুলো এক বিলিয়ন মিনিটেরও বেশি সময় ধরে দেখা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ১ কোটিরও বেশি মানুষ ফলো করেন।