গত ১০ ডিসেম্বর 'জয় বাংলা'কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই দাবি করছেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমেও উক্ত দাবিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন একটি ফেসবুক পোস্ট (আর্কাইভ) দিয়ে দাবি করেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও একই দাবিতে পোস্ট করেছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে জান যায়, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়নি বরং ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে দেয়া রায়কে স্থগিত করার বিষয়কে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন বলা হয়, অনুসন্ধানে অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ১০ ডিসেম্বর “জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগানের রায় স্থগিত” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন করলে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি শেষে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগ।
এর আগে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে রায় দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দিলে সে বছরেরই ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে গত ১০ ডিসেম্বর প্রকাশিতএকটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। সুতরাং, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান জাতীয় স্লোগান হিসেবে দেয়া রায় স্থগিত করার বিষয়টিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। উৎস: চ্যানেল২৪
আপনার মতামত লিখুন :