শিরোনাম
◈ ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করতে বললেন ওসি! (ভিডিও) ◈ ১৫২ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিততে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে ◈ সকল ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে 'জাতীয় সংহতি সপ্তাহ' পালনের ঘোষণা (ভিডিও) ◈ নাগরিক কমিটিতে সারজিস-তুহিনসহ যুক্ত হলো ৪৫ জন ◈ বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু ◈ ৫০০০ ডিম পাঠানো হলো সেন্ট মার্টিনে কুকুরের জন্য ◈ নতুন ডিসি নিয়োগে ফিট লিস্ট তৈরি হচ্ছে, আবার জেলা প্রশাসক বদলাবে সরকার ◈ ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ◈ ইসকন থেকে ৪ মাস আগে বহিষ্কার হন চিন্ময় দাশ ◈ বৃদ্ধির পর ফের দেশের বাজারে কমল সোনার দাম, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১৪ রাত
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ নিয়ে প্রশ্ন, মুখ খুললেন উপস্থাপিকা দীপ্তি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশ যখন উত্তাল, তখন দেশের একটি টেলিভিশন টকশোতে কথা বলছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। প্রায় ৪৯ মিনিটের ওই টকশোতে শুরু থেকেই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। এরপর দেশজুড়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রশংসায় ভেসেছিলে তিনি।

হুট করেই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যান দীপ্তি। শহরের দেয়ালে আঁকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গ্রাফিতিতেও স্থান পায় তার মুখ। তবে আলোচনা ও প্রশংসা মন খুলে উপভোগ করতে পারছেন না দীপ্তি। সহ্য করতে হচ্ছে কটাক্ষও। টকশো শেষে বিচারপতি মানিকের ওপর ক্ষুব্ধ দীপ্তি চিৎকার করে জানিয়েছিলেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেটিই যেন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই উপস্থাপিকার জন্য।

এতদিন তাকে বডি শেমিং করা হয়েছে। বয়স নিয়ে কটাক্ষও করা হয়েছে। এবার সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের অনেকেই জানতে চাইছেন তার ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ এই পরিচয়ের সত্যতা। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে দীপ্তির দাবি করা ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ কথাটিকে অনেকে চ্যালেঞ্জ করছেন! শুধু তাই নয়, এ নিয়ে দীপ্তিকে কটাক্ষ করে ছড়ানো হচ্ছে বহু গুজবে খবর! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দীপ্তি চৌধুরীকে ট্রলিং-এর মাধ্যমে বুলিং করা হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে দীপ্তির বক্তব্য দাবিতে দেশের একটি গণমাধ্যমের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, আমার নানির ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তবে কথিত ফটোকার্ডটির কোনো সত্যতা নেই বলে সেই গণমাধ্যমটির পেইজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীপ্তি চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, দীপ্তি চৌধুরী, আপনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বলেছেন। আপনার পরিবারের কে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? কোন সেক্টরে? নাম কী? আপনার সঙ্গে সম্পর্ক কী? সহজ বিষয়। এই সহজ উত্তর দিতে আপনার দেরি হচ্ছে কেন?

দীপ্তিকে নিয়ে ভাইরাল হওয়া ফটোকার্ডটি যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে, বিষয়টি জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে। সেই ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে নানান তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে দীপ্তি চৌধুরীর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের সাথে তার পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।

সাম্প্রতিক গুঞ্জন নিয়ে দীপ্তি গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক নিউজের ছড়াছড়ি। সত্যের পক্ষে থেকে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করা উচিত। খারাপ মানুষরা ঐক্যবদ্ধ। তারা খারাপ বিষয়গুলো দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু ভালো মানুষের ঐক্যবদ্ধতা তুলনামূলক কম থাকায় আওয়াজ তুলতে দেরি হয়। অনলাইনে যে হ্যারেজমেন্ট শুরু হয়েছে সচেতন নাগরিকদের সকলের আওয়াজ তোলা উচিত। এক্ষেত্রে মিডিয়া সত্যের পক্ষে থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উৎস: আরটিভি অনলাইন ও আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়