মাসুদ আলম: রাজধানীর রায়েরবাজারে ভাড়া বাসা থেকে বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির (৩৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে নন্দীতা তাবাসসুম নামে এক বান্ধবী তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। ফোনে সাড়া না পেয়ে তিনি হাজারীবাগে তুলির বাসায় আসেন। দরজা নক করে সাড়া না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসায় ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সবাইকে খবর দেন। পুলিশ এসে বিকালে লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে থেকে রায়ের বাজারের শেরেবাংলা নগর রোডের ২৯৯/৫ বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ছোট ভাই তার সঙ্গে থাকতেন।
আবার তার ছোট বন্ধুদের সঙ্গে মেসেও থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন তুলি। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। এরপর কিছুদিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন শপ খুলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তুলি।
হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তবে তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সোহানা তুলির ছোটভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি যশোরে। মঙ্গলবার গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠেন মোহাইমিনুল । মঙ্গলবার দুপুরে তুলির সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর আর কথা হয়নি। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি খিলক্ষেত যান। খিলক্ষেতে থাকা অবস্থায় তার বাবা ফোন করে ঘটনাটি জানান। এরপর তুলির বাসায় চলে আসেন তিনি। ব্যবসা নিয়ে কোনো ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে বলে পরিবারের ধারণা।
সোহানা তুলির সহকর্মীরা জানান, এটি আত্মহত্যা হতে পারে না। হয়ত কেউ তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। কারণ তুলির মরদেহ হাঁটুগেড়ে ঝুলে ছিলো। তবে মরদেহের পাশে একটি টুলও পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :