শিরোনাম
◈ এটি এমন একটি রাজনৈতিক বিজয় যা আমাদের দেশ এর আগে কখনোই দেখেনি : বিজয়ী ভাষণ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আমির হোসেন আমু গ্রেফতার ◈ শেখ হাসিনা সরকার আমাকে একা করে দিয়েছে : ছেলের হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন তাপসের মা ◈ সারাদেশে বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা ◈ বিজয় থেকে সামান্য দূরে ইতিহাস গড়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ যত প্রভাবশালীই হোক, কোনোভাবেই চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ট্রাম্প শিবিরে উল্লাস, ভাষণ দেবেন না কমালা ◈ সিরিজ জয়ের দাবিদার আফগানিস্তান, বিকালে প্রথম ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি শান্তবাহিনী ◈ ইসরায়েলের হামলায় সব শেষ, তবুও বিশ্বকাপ খেলতে চায় ফিলিস্তিন ◈ আবার ফিরছে আফ্রো-এশিয়া কাপ ক্রিকেট

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩১ বিকাল
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না : প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান (ভিডিও)

রাজনীতিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ফিরে আসা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে মানুষের যে ক্ষোভ দেখেছি, এটা আমরা অতীতে জানতাম। কিন্তু, এটা প্রকাশ্যে এমনভাবে  আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়নি। মানুষের মধ্যে যে ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে, অনাস্থা তৈরি হয়েছে সেখানে আগামী দিনে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম দেখা যায়। আমি মনে করি, আগামী দশ বছরের মধ্যে তাদের ফিরে আসা, দল পুনর্গঠন ও দল পরিচালনা করা এবং নির্বাচন বা গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।’

রোববার দিবাগত রাতে চ্যানেল আই আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মতিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা দেখতে পেয়েছি, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার পতনের পর তারা আবার ফিরে এসেছে। এমনকি বিদেশে পলায়নের পরও ফিরে এসেছে, ফিলিপিনের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি সেটা। হাইতি বা দুয়েকটা দেশের কথা শুনেছি, তারা ফিরে এসেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং তার দলের একটা বড় অংশ যারা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন তারাও পালিয়ে গেছেন। দেশের ভেতরে যারা আছেন তাদের বড় অংশ জেলে বা লুকিয়ে আছেন। বর্তমান সরকার তাদের বিচার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। বিচার হবে, বিচারে জন্য হয়ত আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’

বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আমার ৫২ বছরের অভিজ্ঞতায় সত্যিকার অর্থে কোনো সময় আমরা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারিনি।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে-এই সময়ে সাংবাদিকতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত তিন মাসেও নানা রকম অস্থিরতা, ভয় ও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। নানা রকম চাপের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। অতীতে দেখেছি কিছু আইন-কানুন বা ব্যবস্থা সরকার নিয়েছিল বা নেয়ার পথে ছিল। আমরা অবশ্য সেই আইন বাতিল দাবি করবো। বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন-এটা বাতিল করার দাবি ছিলো। এই আইনে অনেক মামলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এখনো একটা মামলা চলমান। এই আইনগুলো বাতিল করা অত্যন্ত জরুরি।’

সাংবাদিকদের ভয়ে থাকতে হবে না, এমন একটা পরিবেশ চান প্রথিতযশা এই সাংবাদিক।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত পাশাপাশি দুটি দেশ। একটা বৃহৎ দেশ, তার পাশে আমরা ছোট একটা দেশ। ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব গত এক-দুই দশকে অনেক বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা চাই, অর্থাৎ বিগত কোনো সরকার এটা অস্বীকার করতে পারেনি যে-দুটো দেশের মধ্যে একটা স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। কারণ আমাদের অবশ্যই পারস্পরিক নির্ভরশীলতা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, আসা-যাওয়া, শিল্পকারখানা, বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক এটা আমরা চেয়েছি। তবে আমরা চাইলেও দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হয়নি।’

তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, বিগত সময়গুলোতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কথা বলা হলেও তিস্তা নদীর পানি কিন্তু আমরা পাইনি। এমনকি গঙ্গা নদীর পানি নিয়েও আমাদের আলোচনা শেষ হয়নি। আরও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দুই দেশের যৌথ নদীর পানিবণ্টন বিষয়য়ক যে বিষয়গুলো আছে, সেখানেও সমস্যা রয়েছে এবং এটা পূর্ণতা হয়নি।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘সীমান্তে যে অস্থিরতা, বাংলাদেশিদের নিহতের ঘটনা এখনো চলছে। বার বার ভারতের পক্ষ থেকে বলা হলেও এটা এখনো বন্ধ হয়নি।’

মতিউর রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ভারত স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। আমাদের সবার এটা জানা। বিগত সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যেখানে ভারত খুবই নিশ্চিন্তবোধ করেছে। তারা মনে করেছে এটা তাদের জন্য একটা ভালো এবং স্থায়ী ব্যবস্থা। এটার জন্য তারা বিগত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছিল।’ উৎস: মানবজমিন ও চ্যানেল আই।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়