শিরোনাম
◈ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে, যা জানাগেল ◈ বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়াচ্ছে ◈ খালেদা জিয়া আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন : ডা. জাহিদ হোসেন ◈ নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী অবস্থানে ◈ শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ তৃতীয় ধাপে প্রাথমিকে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষকের যোগদানের তারিখ ঘোষণা ◈ সংশোধিত এডিপি অনুমোদন, ব্যয় কমল ৪৯ হাজার কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন: ফলকার টুর্ক ◈ রমজানের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন ট্রাম্প ◈ সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের অভিযোগের জবাব দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১০ দুপুর
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দু’দিনে সাড়ে ৪ লাখ পাঠক হারালো ওয়াশিংটন পোস্ট

গার্ডিয়ান প্রতিবেদন: একদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় এ মিডিয়া ২ লাখ পাঠক হারায়। এর একদিন পর ফের আড়াই লাখ পাঠক হারিয়েছে মিডিয়াটি যা মোট গ্রাহকের ১০ শতাংশ। গার্ডিয়ান বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ না নেয়ায় প্রথমবার দুই লাখেরও বেশি ডিজিটাল গ্রাহক হারায় ওয়াশিংটন পোস্ট। ওয়াশিংটন পোস্টের গ্রাহক ভিত্তির অবনতি মঙ্গলবার অব্যাহত ছিল। এর স্বত্বাধিকারী জেফ বেজোস মিডিয়ার উপর আস্থা পুনরুদ্ধার করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট  প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর মিডিয়াটির পাঠক সংখ্যা আরো ব্যাপক ধস নামে।

ওয়াশিংটন পোস্ট কর্তৃপক্ষ মার্কিন নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর পক্ষেই অবস্থান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলার পক্ষে বেশ কিছু সম্পাদকীয় লেখা হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই সেগুলো প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল ওয়াশিংটন পোস্টে। কিন্তু দিনকয়েক আগে সংবাদপত্রের প্রকাশক উইল লিউইস জানিয়ে দেন, কোনও প্রার্থীর পক্ষেই কথা বলা উচিত না। পাঠকরা নিজেই ঠিক করবেন কাকে ভোট দেবেন।

তার পরেই হু হু করে কমতে থাকে সংবাদপত্রের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা। এরপরেই ওয়াশিংটন পোস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর জেরে গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন পত্রিকাটির সম্পাদক রবার্ট কাগান। পদত্যাগ করা রবার্ট কাগান ট্রাম্প-বিরোধী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালে তিনি একটি কলাম লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্পের একনায়কত্ব: কীভাবে এটি বন্ধ করা যায়’ শিরোনামে। 

ফক্স নিউজ বলছে, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশক ও নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম লুইস নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন সম্পাদক। ওয়াশিংটন পোস্টের ওয়েবসাইটে এক পোস্টে লুইস লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট এই নির্বাচনে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করবে না। ভবিষ্যতের কোনো নির্বাচনেও করবে না। আমরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সমর্থন না করার বিষয়ে আমাদের আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস। তার মতে, নির্বাচনে কোনও প্রার্থীকে সমর্থন না করাই উচিত। সংবাদপত্রের আদর্শ এটাই। আরও আগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।

গত সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওয়াশিংটন পোস্ট প্রায় আট শতাংশ গ্রাহক হারানোর পর বেশ কয়েকজন প্রতিবেদক (কলামিস্ট) পদত্যাগ করেন। লুইস পদত্যাগের আগে পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৯৬০ সালের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরও বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট প্রচারাভিযানে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করেনি। এটি আমাদের ঐতিহ্য। গত ছয়টি নির্বাচনের মধ্যে পাঁচটিতে আমাদের পদক্ষেপ একই ছিল।’

ওয়াশিংটন পোস্টের পেইড গ্রাহক প্রায় আড়াই কোটি মত। দুদিনে পত্রিকাটি ১৮ শতাংশ গ্রাহক হারিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড মঙ্গলবার বলেন যে তিনি কাগজের সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন। পত্রিকাটি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তিনি যা করেছেন এবং সম্পাদকীয় পৃষ্ঠার দ্বারা সমর্থিত সে সম্পর্কে প্রতিবেদন করা একটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের পেশা এখন সবার চেয়ে কম বিশ্বস্ত। আমরা যা করছি তা স্পষ্টতই কাজ করছে না। 

সপ্তাহান্তে নিউইয়র্ক টাইমস দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মূলধারার মিডিয়াগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে কম বিশ্বাস করা হয় এবং ৫৫% জরিপ উত্তরদাতারা গণতন্ত্রের জন্য মিডিয়াকে খারাপ বলে মনে করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ইউএসএ টুডে, পঞ্চম-বৃহৎ প্রিন্ট এবং চতুর্থ বৃহত্তম ডিজিটাল গ্রাহক প্রচলন সহ, মঙ্গলবার বলেছে যে এটি বা তার ছাতার অধীনে ২০০ টিরও বেশি স্থানীয় কাগজপত্র কোনও প্রার্থীকে সমর্থন করবে না। ইউএসএ টুডের একজন মুখপাত্র, লার্ক-মারি অ্যান্টন, পলিটিকোকে বলেন, আমাদের জনসেবা হল পাঠকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং তাদের জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্বস্ত তথ্য প্রদান করা।
তবে অনুমোদনহীন কাগজপত্রগুলি বলেছে যে তারা এখনও স্থানীয় এবং রাজ্য স্তরে রাজনৈতিক সুপারিশ করার পরিকল্পনা করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়