হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। গণহত্যার অপরাধে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর এসেছে রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়চে ভেলে, ডন, চ্যানেল নিউজ এশিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আনন্দবাজার, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, হিন্দুস্থান টাইমস সহ ভারতীয় মিডিয়াগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ খবর দিয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স শিরোনামে লিখেছে, নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিক্ষোভ চলাকালীন গণহত্যায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে সাত শতাধিক মানুষ নিহত হন। এ ছাড়া বহু মানুষ আহত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় অস্থিরতা ছিল।
বিবিসি শিরোনামে লিখেছে, সাবেক নেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন। তিনি গত আগস্টে গণবিক্ষোভের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান।
আল জাজিরা লিখেছে, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার চান বাংলাদেশের আদালত। বাংলাদেশের একটি আদালত স্ব-নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি দুই মাসেরও বেশি আগে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহে পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের সাবেক নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একটি আদালত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন শিরোনামে লিখেছে, হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে গণগ্রেপ্তার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখা যায়। পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
চ্যানেল নিউজ এশিয়া তাদের প্রতিবেদনে বলছে, গত আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে বলছে, ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু বলছে, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আপনার মতামত লিখুন :