কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘হুন্ডিতে বিপুল ডলার নিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী নেতারা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে, কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়লেও সেই হারে দাম কমেনি। অন্যদিকে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ কমায় ব্যাপক হারে শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। অথচ এখানেই ডলারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসছে।
এর পরও ১২০ টাকার নিচে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই অতিরিক্ত ডলার হুন্ডির মাধ্যমে আবারও বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যতটা সম্ভব ডলার সঙ্গে নিয়ে বর্ডার পার হয়ে অন্য দেশে চলে গেছেন, অনেকে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন। আবার যাঁরা পালিয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন, তাঁরা হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে ডলার নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতি মাসে আমদানির জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার। সেখানে রপ্তানি আয় তিন বিলিয়ন ডলার। বাকি দুই বিলিয়ন ডলারের চাহিদা পূরণ করছে রেমিট্যান্স। কোনো কোনো মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারও আসছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ডলারের দাম কেন ১২০ টাকার নিচে নামছে না? সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, ব্যাংকে বর্তমানে এলসির চাহিদা কম, কমেছে বিদেশে ভ্রমণ, চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও কমেছে। আবার আগামী জানুয়ারি মাসের আগে পড়ালেখাকেন্দ্রিক বিদেশে ডলার পেমেন্টের চাপও তৈরি হবে না। এ অবস্থায় রেমিট্যান্সের মাধ্যমে যে ডলার দেশে আসছে তা আবার হুন্ডি হয়ে বিদেশে পাচার হচ্ছে। দেশের সম্পদ রক্ষা করতে এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আওয়ামী লীগের অর্ধশত মন্ত্রী-এমপি বিপুল অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন।
গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাঁরা, এর বেশির ভাগই বিদেশে পাচার করেছেন। এই তথ্য বের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান, আমলে নেওয়া অভিযোগ এবং কমিশনের গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যানুসারে, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশ থেকে অন্তত ১৪ হাজার ৯২০ কোটি বা ১৪৯.২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় পাচার করা টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলারে ১১৮ টাকা ধরে)। এ হিসাবে গড়ে প্রতিবছর পাচার হয়েছে অন্তত এক লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টাকা পাচারের অন্যতম কারণ হলো রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা। আবার রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে পাচার করা সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা এত দিন সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে দুদকসহ অন্য সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাও দায়ী। তবে পাচারের টাকা ফেরানোর এখনই উপযুক্ত সময়।’
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘আড়তে ডিমের জোগান বেড়েছে, দাম বেশি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে ১৬০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে। তবে কোনো কোনো পাড়া-মহল্লার দোকানে কিছুটা বেশি দামে ডিম বিক্রি হয়েছে। খামারিরা তেজগাঁও আড়তে ডিম সরবরাহ করার আগে মঙ্গলবার বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিম সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয় দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান শুরুর পর। সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। নির্ধারিত দাম অনুসারে, প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) হওয়ার কথা।
কিন্তু রাজধানীতে ডিমের অন্যতম বড় আড়ত তেজগাঁওয়ের পাইকারি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে তাঁদের ডিম কিনতে হচ্ছে। ফলে বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করলে তাঁদের লোকসান হবে। সে কারণে জরিমানা ও শাস্তির ভয়ে তাঁরা গত রবি ও সোমবার রাতে ডিম কেনাবেচা বন্ধ রাখেন।
বাজারে কিছুদিন ধরেই ডিমের দাম বাড়তি ছিল। তেজগাঁওয়ের ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের পর ডিমের দাম আরও বেড়ে যায়। সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সরবরাহে যুক্ত অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে সিদ্ধান্ত হয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে আগামী দুই সপ্তাহ ডিম উৎপাদক বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠাবেন। পরে পাইকারি বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন।
তবে ডিম উৎপাদক বড় কোম্পানিগুলো গতকাল তেজগাঁওয়ে ডিম সরবরাহ করেনি বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় কোম্পানিগুলো আড়তে ডিম পাঠায়নি। তাদের সঙ্গে আজ (বুধবার) সভা হয়েছে। আশা করছি, আজ (বুধবার দিবাগত) রাত থেকে বড় কোম্পানিগুলোর ডিম আমরা কিনতে পারব।’
যুগান্তর
‘বেঞ্চে রাখা হচ্ছে না ১২ বিচারপতিকে’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দলবাজ, দুর্নীতিবাজ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বুধবার বিকালে বিক্ষোভস্থলে এসে এ তথ্য জানান সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। তবে ১২ বিচারপতির নাম তিনি ঘোষণা করেননি। তার এ ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছাড়েন। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা রোববার বিকাল পর্যন্ত দেখব।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হচ্ছে। ২০ অক্টোবর (রোববার) ওইদিন থেকে নিয়মিত বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী এর আগেই হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠন করা হবে। সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যে, কোন ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চে রাখা হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং। সব মিলিয়ে দিনভর মিছিল মিটিংয়ে উত্তাল ছিল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন চালুর নির্দেশ’। খবরে বলা হয়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ফের নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) চালু হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল বুধবার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) পুনরায় চালুকরণ সংক্রান্ত পত্রানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ অক্টোবর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান একটি নির্দেশনা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠিয়েছেন।
মাউশি ২০১২-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থাকবে না মর্মে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রের জরুরি নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা (২০২৬) সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-এর ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বিভাজন অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে তারা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ধারার নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের অনুরূপ শাখা বিভাজন, শাখা ভিত্তিক বিষয়, নম্বর বিভাজন, মানবণ্টন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ইত্যাদি প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনূষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে অবহিতকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
বণিক বার্তা
‘জুলাই-আগস্টে ব্যাংকে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা’-এটি দৈনিক বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। আন্দোলন দমাতে কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্তও চাপিয়ে দিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার। ওই সময় ব্যাংকও বন্ধ ছিল অন্তত পাঁচদিন। স্থবিরতা নেমে এসেছিল দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। আশঙ্কাজনক হারে কমে গিয়েছিল ব্যাংকিং লেনদেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তৈরি হয় ভিন্ন পরিস্থিতি। দেশের ব্যাংক খাতে দেখা দেয় নগদ টাকার তীব্র সংকট। পরিস্থিতি সামাল দিতে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও গ্রাহকের আমানতের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হতে থাকে অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ব্যাংকগুলো। এসবের ধারাবাহিকতায় ওই সময় ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার চেয়ে উত্তোলন হয়েছে অনেক বেশি।
আন্দোলন, অভ্যুত্থান আর ব্যাংক খাতের অস্থিরতার বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে আমানত প্রবাহে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) আমানত না বেড়ে উল্টো কমেছে। এ সময়ে ব্যাংক খাতে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এভাবে ব্যাংক খাতে আমানত কমে যাওয়ার ঘটনা নিকট অতীতে দেখা যায়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। আগস্ট শেষে আমানতের এ স্থিতি ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১০ হাজার ৯০৭ কোটি টাকার আমানত কমে গেছে। যেখানে গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছিল ২৩ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘যৌক্তিক’ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না ডিম’। খবরে বলা হয়, দু’দিন বেচাকেনা বন্ধ থাকার পর অবশেষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পাইকারি আড়তে ডিমের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে খুচরা বাজারেও দেখা মিলছে ডিমের। তবে দাম কিছুটা কমলেও সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক দামে আড়তে ডিম কেনাবেচা হয়নি।
এদিকে, সরবরাহ বাড়ানো ও দর নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। কাপ্তান বাজারে আজ বৃহস্পতিবার থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম সরবরাহ শুরু করবে। এ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)। সংগঠনটি বলছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু হলেও সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে।
আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে খামারির কাছ থেকে তারা প্রতিটি ডিম ১২ টাকা করে কিনেছেন। সেগুলো খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে ১২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৩০ পয়সা দরে তারা বিক্রি করেছেন।
নয়া দিগন্ত
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘সক্রিয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী সিন্ডিকেট’। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্যের বাজার। দামের দিক থেকে সেঞ্চুরি করেছে কয়েক ধরনের সবজি। ওসব সবজি স্বাভাবিক সময়ে প্রতি কেজি ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। সবজি ছাড়াও ডিম, আলু, রসুন, পেঁয়াজসহ সবধনের নিত্যপণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত পতিত আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজনরা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিন্ডিকেটকে সুবিধা করে দিতে ভারসাম্য তৈরি থেকে বিরত থেকেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে কিছু কোম্পানিই পুরো বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকারের ছায়াতলে থাকা এসব সিন্ডিকেট জনগণের পকেট থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে আছে তার ১০ বছরের একান্ত সচিব মাসুকুর রহমান শিকদার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বসে প্রতিদিনই আওয়ামীপন্থী অফিসারদের নিয়ে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। একই অভিযোগ রয়েছে সচিবসহ আরো কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হওয়ায় হাসিনার শেষ সময়ের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সাথেও প্রায় চার মাস একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন মাসুকুর রহমান। একান্ত সচিব থাকাকালীন নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে এই কর্মকর্তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়। এর পর মাঝ খানে দুই বছর মাঠ প্রশাসকে দায়িত্ব পালন করে আবারো মন্ত্রীর পিএস হিসেবে যোগদান করে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত রয়েছে। অথচ সরকারি চাকরির নিয়মানুযায়ী এক স্টেশনে তিন বছরের বেশি চাকরি করার সুযোগ নেই।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘12 HC judges barred from judicial work’ অর্থাৎ ‘বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন না হাইকোর্টের ১২ বিচারপতি’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ‘আওয়ামী লীগপন্থী ফ্যাসিবাদী বিচারকদের’ অপসারণের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ঘেরাও করে। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাইকোর্টের ১২ জন বিচারককে সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বিক্ষোভকারীদের জানান, আপাতত ১২জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। এর অর্থ হল, আগামী ২০শে অক্টোবর আদালত খুললে তারা বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে ওই ১২ জন বিচারপতির নাম প্রকাশ করেননি আজিজ আহমদ ভূঞা।
আজকের পত্রিকা
প্রশ্নের মুখে ৫৪০ কোটি টাকার ‘অপ্রয়োজনীয়’ ৫ উড়ালসেতু-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, রেললাইনের ওপর দিয়ে ছোট পাঁচটি উড়ালসেতু নির্মাণ করেছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘অপরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ ওঠায় এর একটি প্রকল্প থেকে বাদ দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে রাসিক। কিন্তু অন্য চারটির কাজ চলছে। এগুলোরও একটি নির্মাণ না করতে গত মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রাসিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালে উড়ালসেতুগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প থেকে উড়ালসেতুগুলো নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা। ট্রেন যাওয়া-আসার সময় যেন সড়কে যানবাহন আটকে না থাকে, সে লক্ষ্যেই উড়ালসেতুগুলো
নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে চারটি উড়ালসেতুর কাজ শুরু হয়েছে। তবে অন্য একটির কাজের দরপত্র আহ্বান হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দরপত্র না হওয়া উড়ালসেতুর কাজ বাতিলের জন্য সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে রাসিক। নগরের ভদ্রা এলাকায় রেলক্রসিংয়ের ওপর এই উড়ালসেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ১২০ কোটি টাকা।
এদিকে বাকি চারটি উড়ালসেতুর নির্মাণকাজ চলতে থাকায় এর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় সিটি করপোরেশন সরে আসতে পারছে না। যদিও এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে একটি উড়ালসেতুর কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
দেশ রূপান্তর
‘সচিবের সই, তাই দুর্নীতি বৈধ!’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ২৬ জুলাই তাকে ১০ বছরের সশ্রম ও তিন বছরের বিনাশ্রম সাজা দেয় বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও তার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশও দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি সাজা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। তার সম্পদবিবরণী জারির নোটিসে কমিশনের অনুমোদনের বদলে দুদকের সচিবের অনুমোদন নিয়ে মামলা করায় তার সাজা বাতিল করে উচ্চ আদালত। পরে তার সাজা বাতিল-সংক্রান্ত আদেশের পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আমলাসহ ৫০ জনের সাজা বাতিল বা স্থগিত হয়। তাদের অনেকের ১৩ বছরের সাজা হয়েছিল। দুদক কর্মকর্তা বলেছেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দুদকের অনুসন্ধান-তদন্ত হয়নি বলে তাদের সাজা বাতিল বা স্থগিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :