শিরোনাম
◈ হাসিনার ফেরিওয়ালা যখন প্রিয়াঙ্কা ◈ সমাজের উচ্চ পর্যায়ের যারা দুর্ঘটনা ঘটায় তাদের বিচার হয় না: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ ◈ সন্দেহজনকভাবে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ◈ নতুন প্রযুক্তি আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ◈ মোবাইল ফোন রক্ষা করতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন কামরুল হাসান, জড়িত ২ কিশোর গ্রেপ্তার ◈ শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি : এবিসির রিপোর্ট ◈ চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে , ২-৩ দিনের মধ্যেই অভিযান: ডিএমপি কমিশনার ◈ সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক ভারত! ◈ দেড় শতাধিক নিহতের দাবি তাবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে, যা জানালো রিউমর স্ক্যানার

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩১ রাত
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওয়ান ইলেভেন ও স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঘিরে ধরেছে :  ডা. জাহিদ

মনিরুল ইসলাম  ঃ  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে  বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চার পাশ থেকে ওয়ান ইলেভেন ও স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। 

 তিনি বলেছেন, ওই প্রেত্মাতাদের থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে ওরা আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) গিলে খাবে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। 

বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন,বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, বিএফইউজে'র মহাসচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী,  মরহুম রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আদনান আরবার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাভাপতি মোরসালিন নোমানী, প্রবীণ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত ওবায়দুর রহমান শাহীন, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসেন, আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, ডিইউজে সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক মুহাম্মদ ও সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, বিএফইউজে সহ-সভাপতি এ কে এম মহসীন ও প্রচার সম্পাদক শাজাহান সাজু, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমূখ।

সভায় ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ওয়ান ইলেভেনের সুবিধাভোগীদের চতুর্দিকে বসিয়েছে। শেখ হাসিনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। সরকারের বয়স এখন দুই মাস হলেও তাদের ঘুম ভাঙেনি। ছাত্র-জনতা এটা মেনে নিবে না। মজলুম সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে হাজিরা দেওয়ার পর জেলে যেতে হবে, এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাইনি। দুর্নীতিবাজ, অপরাধীদের সরকার খুঁজে পায় না, শুধু মাহমুদুর রহমানকে জেলে পাঠাতে পারে।

প্রয়াত রুহুল আমীন গাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, তিনি মানবিক গুণাবলির মানুষ ছিলেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পেছনে কে আছেন সেটি খেয়াল রাখেননি। সবসময় সাহস নিয়ে চলেছেন। সাংবাদিকদের যে কোন দাবি আদায়ে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তাকে যখন জেলখানায় নেওয়া হয়েছে, তখন খুব অসুস্থ ছিলেন। সরকার তাকে চিকিৎসা দেয়নি। যার ফলে তার অসুখ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে ফ্যাসিস্টরা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশে মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই রুহুল আমীন গাজীর আত্না শান্তি পাবে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রুহুল আমিন গাজী সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেছেন। অনেকেই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেছে। কিন্তু তিনি কোনোদিন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। রাজপথে ও কলমে সবসময় তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। স্বৈরাচারী সরকার তাকে ১৭মাস কারাগারে আটক রেখেছে। কিন্তু তিনি মাথানত করেননি। আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ছিলেন নির্ভীক এবং সহসী নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ। তিনি সততা, বিশ্বস্ততা এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বাধিক এবং সর্বমহলে। তাঁকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের প্রস্তাব দেন এবং অনতিবিলম্বে মাহামুদুর রহমানকে মুক্তি দাবি করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের চারপাশে এখনো ফ্যাসিবাদের দালালরা জায়গা নিয়ে বসে আছে বলে মন্তব্য করেন বিএফইউজে’র মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। 

তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা অনেক, কোনোভাবেই হত্যাকারীদের দোসরদের স্থান এই সরকারের পাশে হতে পারে না। এতে সরকারের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। 

তিনি আরও বলেন, মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য ঐক্য জরুরি। সবাই সরব থেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনাতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়