আমিনুল ইসলাম: [২] গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশ থেকে বিরত রাখা রাখা যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা অবিলম্বে সাঈদ খানের মুক্তি, সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
[৩] শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে'র সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ডিইউজে'র সিনিয়র সহসভাপতি রফিক মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
[৪] অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, বিএফইউজে সহ সভাপতি খায়রুল বাশার, সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডিইউজে সহসভাপতি রাশেদুল হক, বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদ সদস্য অপর্ণা রায়, ডিইউজে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি রফিক লিটন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য তালুকদার রুমি,গাযী আনোয়ার, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আমিরুল ইসলাম অমর, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য এইচ এম আল আমিন, মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ডিইউজে’র যুগ্মসম্পাদক দিদারুল আলম।
[৫] সত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে সাঈদ খানকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে রুহুল আমিন গাজী বলেন, সাংবাদিকরা কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পান না। যতই বাধা আসুক না কেন, সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা থেকে বিরত রাখা যাবে না। কোটাবিরোধী আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চারজন সাংবাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে বর্তমান সরকারের আমলে সাগর-রুনিসহ ৬১জন সাংবাদিককে হত্যা করা হলেও একটি হত্যারও বিচার হয়নি। কোটাবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সারাদেশে গণগ্রেপ্তার চলছে।
[৬] সাংবাদিকদের এ শীর্ষ নেতা বলেন, মসনদ টিকিয়ে রাখতে ১৮ কোটি মানুষকে গ্রেপ্তার করবেন? এটা সম্ভব নয়। গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দিন। কারণ, মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়া কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না। তিনি অবিলম্বে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকসহ নিরস্ত্র শত শত ছাত্র হত্যার বিচার দাবি জানান। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :