শিরোনাম
◈ পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, হচ্ছে মামলা, বেশির ভাগই ভারতে অবস্থান করছেন ◈ আওয়ামী লীগ এখনই নিষিদ্ধ নয়, তবে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে : উপদেষ্টা নাহিদ ◈ ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৪৯ বিকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ ছেড়ে সরকার রক্ত বেছে নিয়েছে: সাংবাদিক নেতারা 

রিয়াদ হাসান: [২] কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হত্যা ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার  দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

[৩] সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সরকার রক্তের নেশায় উন্মত্ত হয়ে গেছে। ১৭ তারিখ সাতজন ছাত্র হত্যার পর আজ আবার তিনজন ছাত্রকে হত্যা করেছে। আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথকে ছুঁড়ে ফেলে রক্তই বেছে নিল সরকার। যা ফ্যাসিবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ।

[৪] সমাবেশ থেকে অভিভাবকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক তারা বলেন, এভাবে পাখির মতো আমাদের সন্তানদের গুলি করে মারবে আর অভিভাবকরা চুপ করে থাকবো এটা হতে পারে না।

[৫.১] শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যোক্তিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের দাবি না মেনে বল প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। 

[৫.২] আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, গত ক'দিন ধরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, হকিষ্টিক, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। নির্বিচার হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি।

[৬] বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার যেভাবে ছাত্র হত্যার মহোৎসবে নেমেছে তা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একাত্তরে ভিন দেশ থেকে এসে আমাদের হত্যা ও নির্যাতন করেছিল। আর আজ এদেশের সিংহাসনে বসে মানুষ হত্যা, গুম ,খুন করা হচ্ছে। এ লজ্জা রাখি কোথায়? 

[৭] পুলিশের সমালোচনা করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, আপনারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী। কোনো দলের ঠেঙ্গারে বাহিনী নন। তাই নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। আমাদের সন্তানের বুকে গুলি চালাবেন না। আমাদের একদফার দাবিতে মাঠে নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা মাঠে নামলে শ্রীলঙ্কার পরিণতি আপনাদের বরণ করতে হবে। 

[৮] ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবৎ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উস্কানিমূলক  বক্তব্য দিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়। এর ফলে ১০টি তরতাজা প্রাণ ঝরে পড়লো। এর দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না।

[৯] সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সহ সভাপতি এ কে এম মহসিন, সিনিয়র সহকারি মহাসচিব বাছির জামিল, ডিইউজের সহ সভাপতি রফিক মোহাম্মদ, ক্রাবের সাবেক সহ সভাপতি আবু সালেহ আকন প্রমুখ।

[১০] সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন দুটো। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়