শিরোনাম
◈ সমালোচকেরা মনে করছেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি আরেকটি ‘আওয়ামী লীগে’ পরিণত হতে পারে ◈ হোয়াটসঅ্যাপ আনলো চমকপ্রদ ফিচার ◈ এক বছরেই ভোট চান ৬১.১ শতাংশ মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯ শতাংশ ◈ বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা, : বড় পতনের পর সোনার দামে বড় লাফ ◈ রবিবার ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ বড় পরিবর্তন আসছে প্রাথমিকে, সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ ◈ পিকনিক বাসে বিদ্যুতের তার, প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর ◈ কোথাও দাম না পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি ◈ সম্পদের হিসাব জমা না দিলে সরকারি চাকরিজীবীদের যেসব শাস্তি হতে পারে ◈ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যেসব দেশ নিরাপদ থাকবে

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৪, ১০:১৩ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হামলায় সাংবাদিক আহত: থানায় মামলা

তপু সরকার হারুন: শেরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক সাংবাদিকের মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মিজান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এসময় সাংবাদিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় টাকা সহ তার ব্যবহৃত মানিব্যাগ।

গত ৮ জুলাই সোমবার সকালে সদর উপজেলার শিমুলতলী বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে ১০ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতে। আহত ওই সাংবাদিকের নাম মো. এনামুল হক। সে দৈনিক বাংলার নবকন্ঠ পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

এঘটনায় ভাইস চেয়ারম্যান মিজান উল্টা ওই সাংবাদিকে নানা হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করে নানা অপবাদ ছড়াচ্ছেন। বর্তমান পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় তার ও তার অনুসারীদের হুমকির ভয়ে এখন সাংবাদিক এনামুল তার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে জেলা শহরে অবস্থানরত বড় ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।

৮ জুলাই সোমবার সকালে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলায় যাওয়ার সময় সদর উপজেলার শিমুলতলী বাজারে পৌছার সাথে সাথে ভাইস চেয়ারম্যান মিজান তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে হামলা চালায় সাংবাদিক এনামুলের উপর। এসময় মিজান নিজে দেশীয় চাকু দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক। এতে তার কপালে গভীর ক্ষত হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে এ ব্যাপারে এনামুল বাদি হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।

সাংবাদিক এনামুল বলেন, পূর্ব হইতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আশফুল আলম মিজানের সাথে আমার বিরোধ চলছিলো। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই শেরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণাও।নির্বাচনকে ঘীরে আমি নতুন এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে চলাফেরা করছি। এই কারনেই সে আমাকে তার জন্য ক্ষতিকর মনে করছে। এর আগেও সে দুইটি মামলায় আমার নাম জড়িয়েছে। তার নারী কেলেঙ্কারির একাধিক ঘটনা রয়েছে। সেই খবর অনেক সাংবাদিক সংবাদপ্রত্রে প্রকাশ করেছেন। এর জন্যেও সে আমাকে দায়ী করে। এ সকল ঘটনার জের ধরেই সে এই হামলা করেছে। এছাড়াও সে নিজের হাতে আমার পকেট থেকে টাকা সহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি এতো ছোট মনের হতে পারে আমি চিন্তাও করতে পারিনা। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যাপারে চরপক্ষিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মন্টু বলেন, আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই ঘটনা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও দিনদুপুরে লোকজন নিয়ে এসে একজন সাংবাদিকের উপর হামলা করার ঘটনাটি অত্যন্ত নেক্কারজনক।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিটিভি ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি (সাংবাদিক) দেবাশীষ ভট্রাচার্য্য বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি কর্তৃক সাংবাদিকের উপর হামলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তবে অভিযুক্ত ওই ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মিজান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সব মিথ্যা। আমি এর সাথে জড়িত নই।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, সাংবাদিক এনামুল হকের উপর হামলার প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়