ইমন হোসেন: [২] বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে শিশু নিখোঁজের স্ট্যাটাস আসে প্রায় প্রতিদিনই। এসব স্ট্যাটাস সত্য ভেবে অনেকেই আবার শেয়ার দিচ্ছেন নিজের প্রোফাইলে। এতে জনমনে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। (ইত্তেফাক ০৭-০৭-২০২৪)
[৩] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একের পর এক শিশু নিখোঁজের এমন ঘটনা অনেকাংশেই ভিত্তিহীন ও অসত্য। যারা হারিয়ে গেছে বলে পোস্ট দেয়া হয়েছিল, পরে তাদের অনেককেই খুঁজে পাওয়া গেছে। সেটি পরে আর জানানো হচ্ছে না। নিখোঁজের সত্যতা যাচাই না করেই পোস্ট শেয়ার দিচ্ছেন নেটিজেনরা। (জাগোনিউজ ০৬-০৭-২০২৪)
[৪] পুলিশের এক পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারি মাসে রাজধানীর ৫০ থানায় ২১০টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২১৭টি, মার্চ মাসে ২১৩ টি, এপ্রিলে ২২১টি, মে মাসে ১৯৯টি এবং জুনে ২৬০টি নিখোঁজ জিডি হয়। চলতি জুলাই মাসে এ পর্যন্ত ৭৬টি নিখোঁজের জিডি হয়েছে। এসব ডায়েরিতে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, গৃহপরিচারিকা ও নারী-শিশু রয়েছে। তবে একযোগে এত শিশু নিখোঁজের কোনো তথ্য নেই। (কালবেলা ০৮-০৭-২০২৪)
[৫] ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম সেল বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের গুজবে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। যে বা যারা এসব তথ্য সত্য বলে পোস্ট করছে তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। (আরটিভি)
[৬] এ বিষয়ে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, সমাজকে অস্থিতিশীল রাখতেই এমন নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তবে শিশুরা যে নিখোঁজ হচ্ছে না তা-ও বলা যাবে না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আর সামাজিক মাধ্যমে নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরে সংশ্লিষ্ট জনকে খুঁজে পাওয়া গেলে সে বিষয়ক মেসেজও দেয়া উচিত। (দেশ রূপান্তর ১০-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :