শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৯:১৮ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৭:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বইমেলার ভিন্ন রঙ

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] ১৯৭২ সালে ৩২টা বইয়ের স্টল দিয়ে শুরু হওয়া বইমেলা কি শুধুই বই বিক্রির? বইমেলার মাঠে মিলেছে কত প্রাণ, কত আড্ডা। সেই মিলনমেলা এই বইবসন্তে আজও অটুট। বই কেনাবেচার বাইরেও এবারের মেলায় আলোচনা সভা, সাহিত্য আড্ডা, সৃজনশীল ও সেবামূলক কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো।

[৩] বইমেলায় পাঠক যায় বই কিনতে, কিনতে না পারলেও স্টলের সামনে পাতা উল্টিয়ে দেখেন। প্রকাশক আসেন বই বিক্রির খবর নিতে, লেখক আসেন অটোগ্রাফ দিতে, দর্শনার্থীরা ঘুরতে... কেউ ঘুরতে এসে বই কেনেন, আবার কেউ বই কিনতে এসে পুরনো বন্ধুর দেখা পেয়ে ঘুরে চলে যান। কিন্তু এর বাইরেও বইমেলার ভেতর অন্যরকম এক মেলা আছে। এমনটাই দাবি অনেক বইমেলা মেলাপ্রেমী।

[৪] তাদের মতে, বইমেলা মূলত নগরক্লান্ত মানুষের হাঁফ ছাড়া একটু শান্তির জায়গাও। যেমন, মেলার এক কোণে চিত্রশিল্পীরা বসে বসে মানুষের মুখের ছবি আঁকছেন। অন্য কোণে চলছে আড্ডা হই-হুল্লোড়। এমন দৃশ্য যেকারো মনেই শান্তি এনে দিবে। যেন অন্য এক দুনিয়া। চিরসবুজ, রঙিন।

[৫] বইমেলাকে ভিন্ন রঙে দেখলে উঠে আসে মেলাকে কেন্দ্র করে চলমান সেবামূলক নানা কার্যক্রম। যেমন বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচি, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে হুইলচেয়ার সেবা দেওয়াসহ ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টারও করা হয়েছে। সেবামূলক এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন। স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ আনসারসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এসব কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন। এমনকি মেলায় আগত হাটতে না পারাদের জন্যও রয়েছে হুইল চেয়ার সুবিধা।
 
[৬] শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সেবা, ব্যবসা, কর্মসংস্থান সব মিলে বইমেলাকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে তা বলাইবাহুল্য। জীবনের সঙ্গে একেবারে মিলেমিশে আছে বলেই এ মেলা বাঙালির হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে। তাই সাহিত্যের রূপ, রস কিছুটা মলিন হলেও এই মেলার আবেদন কমছেই না, বরং বাড়ছে বলে মনে করেন সাহিত্যপ্রেমীরা।

[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান এবং লেখক মুমিত আল রশিদ বলেন, ‘প্রাণের এই মেলায় সব প্রাণের সঞ্চার ঘটে। মেলায় এলে মনে হবে না এটি শুধু বইমেলা, মনে হয় যেন এটি মহা মিলনমেলা। বাঙালির চেতনা ও গৌরবের এই মেলা আরও প্রাণবন্ত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

[৮] শিক্ষক, কবি ও প্রাবন্ধিক নাহার কবির বলেন, ‘বাঙালির জীবনে ফেব্রুয়ারি শুধু একটি মাস নয়, বরং ফেব্রুয়ারি হলো ইতিহাস, উৎসব, রঙ, ঋতুবৈচিত্র্যের এক মহাসম্মিলন। এ মাসেই ডানা মেলে একুশে বইমেলা! এ যেন আমাদের আত্মার মেলা। এটি বাঙালির জীবনে শুধু উৎসব নয়, মনে হয় একটি সামাজিক মিলনমেলা। প্রকৃত অর্থে একুশে ফেব্রুয়ারি যেমন বাঙালির মননে রক্তে মিশে আছে, তেমনি একুশে বইমেলাও বাঙালির সংস্কৃতিতে জুড়ে আছে। নিঃসংকোচে বলা যায় অমর একুশে বইমেলা আমাদের একটি সাংস্কৃতিক উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়ে গেছে।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়