শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় আগের দিনের মতোই বইমেলায় ভিড় হবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি লোকের সমাগম হয়েছে এদিন। এতে ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলাও। মেলায় আগতদের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে টিএসসি-শাহবাগ এলাকায়।
[৩] বইমেলার দশম দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এর মধ্যে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। সে কারণে সকাল থেকেই শিশুদের পদচারণা শুরু হয়। আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মেলা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। এতে বাড়তি ভোগান্তির কারণ হয়েছে মেলার মাঠের ধুলা। যদিও বাংলা একাডেমি বলছে ধুলা কমাতে নিয়ম করে পানি ছেটানো হচ্ছে।
[৪] উপচেপড়া এই ভিড়ে বই কেনার চেয়ে ঘুরে বেড়ানো আর আনন্দ আড্ডায় মেতে থাকতেই দেখা যায় দর্শনার্থীদের। অন্য দিনের তুলনায় মেলায় বই বিক্রি বাড়লেও তা লোক সমাগমের তুলনায় খুব বেশি নয় বলে জানিয়েছেন পেন্ডুলাম পাবলিশার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রুম্মান তাশফিক।
[৫] আমাদের নতুন সময়কে তিনি বলেন, ‘যত লোক মেলায় এসেছেন, তাদের বেশিরভাগই বই কেনেননি। অনেকে এসে স্টলের সামনে বই হাতে নিয়ে ছবি তুলেছেন। তবে এই লোক সমাগমের আনন্দটাও আমরা উপভোগ করছি। আশা করি বাকি দিনগুলোয় লোক সমাগম হবে এবং বই বিক্রিও বাড়বে।’
[৬] ছুটির দিনে বাঙালির প্রাণের মেলায় স্বাভাবিকভাবেই লোকসমাগম বেশি হওয়ার কথা। আর তারই আচ পড়েছে শাহবাগ ও টিএসসি এরাকার সড়কগুলোয়। অনেকে দীর্ঘক্ষণ যানজটে অপেক্ষা করে হেঁটে মেলায় গিয়েছেন। এতে ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে নেমেছে মানুষের ঢল। সড়কে মানুষ, রিকশা, গাড়ির সমানতালে জট বাঁধতে দেখা গেছে। তবে শুক্রবারের তুলনায় এই জট কিছুটা কম ছিলো।
[৭] বইমেলায় আসা এক দর্শনার্থী রামিমা আফরোজ বলেন, পরীবাগ থেকে হেঁটে এতদূর এসেছি। পহেলা বৈশাখের দিন যেমন ভিড় হয় আজও (শনিবার) তেমন ভিড় হয়েছে।
[৮] এদিকে, বইমেলার মুক্তমঞ্চ, আমা কফি প্যাভিলিয়নের পেছনে, মোড়ক উন্মোচন মঞ্চের পাশে গাঁজা সেবনকারীদের উৎপাত বেড়েছে। এতে অতিষ্ঠ দর্শনার্থীরা। যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে মেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অবাধে গাঁজা সেবন করতে দেখা গেছে।
[৯] দর্শনার্থীরা বলছেন, মেলায় অনেকে গাঁজার মতো মাদক নিয়ে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন। পরে তারা মুক্তমঞ্চসহ কয়েকটি স্থানে গিয়ে গাঁজা সেবন করেন। গাঁজার গন্ধে মুক্তমঞ্চে বসা এবং ওই এলাকা দিয়ে হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকে পরিবার নিয়ে মুক্তমঞ্চে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন।
[১০] মেলার মাঠে কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ সিগারেট বিক্রেতাকেও দেখা গেছে। এদের মধ্যে একজন জানান, সকালে মেলার পাশের অংশ দিয়ে সিগারেট ও লাইটার নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। পরে সাধারণ পলিথিনে ভরে এগুলো বিক্রি করেন। পুলিশ দেখলে টাকাসহ সিগারেট, লাইটার জব্দ করে।এজন্য লুকিয়ে বিক্রি করেন। তবে অনেকে বলছেন মেলার মাঠে বিভিন্ন হকার কৌশলে গাঁজাও বিক্রি করেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :