মুযনিবীন নাইম: [২] যেদিকে তাকাই শুধু মানুষ আর মানুষ। দেখলে মনে হবে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান ঘিরে এই গণমানুষের সমাগম। সবার চোখে মুখে আনন্দ আর পোশাক পরিচ্ছদেও উৎসবের ছাপ। চিত্রটি অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর। চলছে বইমেলার ৯ম দিন। দিনটি শুক্রবার হওয়ায় বেলা ১১টা থেকেই শুরু হয় মেলা। ফলে সকাল থেকেই এখানে জড়ো হচ্ছেন নানা শ্রেণি- পেশার মানুষ। বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই বই মেলায় পা ফেলার জায়গাটুকু পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তিল ধারণের ঠাঁই নেই বললেই চলে এখানে।

[৩] শুক্রবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে এমন চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা কালী মন্দির গেটে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করছেন। টিএসসি থেকে গেট দিয়ে প্রবেশ করে মূল প্রাঙ্গণে যেতেই অন্তত ১৫-২০ মিনিট সময় লাগছে দর্শনার্থীদের। মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও হিমশিম খাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তাই মানুষ শুধু তল্লাশি যন্ত্রের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করছে, ব্যক্তিগতভাবে পুলিশকে কারো ব্যাগ বা শরীর পরীক্ষা করতে দেখা যায়নি।

[৪] শুক্রবার দিনটি ছুটির দিন হওয়ায় সবাই নিজের পরিবার, পছন্দের মানুষ ও বন্ধুদের সঙ্গে বইমেলায় ঘুরতে আসেন। সকালে থেকেই নানা বয়সের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মেলা প্রাঙ্গণে। তবে মানুষের অত্যাধিক চাপ থাকায় স্টলগুলোতেও বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বই কেনার থেকে বইয়ের সঙ্গে ছবি তোলা ও সেলফিতে মত্ত থাকতেই দেখা গেছে অনেক দর্শনার্থীকে।

[৫] মেলায় সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে শিশুপ্রহরে। ছুটির দিন হিসেবে সকাল থেকেই চত্বরটিতে হালুম, টুকটুকি শিশুদের নিয়ে মেতেছিল। দুপুর থেকে শিশু প্রহরে সিসিমপুর মঞ্চে চালু ছিল শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজন। শিশু চত্বরে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে স্টল সাজিয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনীও।

[৬] দর্শনার্থী বাড়ায় বেশ আশা প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরাও। দুইজন প্রকাশকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত আটদিনের তুলনায় আজকে দর্শনার্থী অনেক বেশি, তাই বিক্রিও বেশি। মানুষ আসছে, বই কিনছে।

[৭] এদিকে অসংখ্য মানুষের পদচারণায় মেলায় ধূলার উড়োউড়ি হচ্ছে। মাঘের প্রায় শেষ ও ফাল্গুনের মিহি বাতাসে উড়ছে ধূলা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে বেকায়দায় পড়েছে শিশু-কিশোররা। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান