শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৮:২৯ রাত
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৮:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রথম ছুটির দিনে প্রাণবন্ত বইমেলা

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] প্রথম ছুটির দিনেই প্রাণ ফিরে পেল অমর একুশে বইমেলা। শুরুর দিনের তুলনায় মেলার স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুপ্রহরে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

[৩] সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায় বইপ্রেমীদের পদচারণা। সকাল এগারোটায় খোলে মেলার দ্বার। এদিন বেলা এগারোটা থেকে একটা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এগারোটায় মেলার শিশুচত্বরে সিসিমপুর মঞ্চ উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। 

[৪] সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবা মায়ের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে বেড়ায় শিশুরা। কোনো কোনো শিশুকে অধীর আগ্রহে বইয়ের প্রচ্ছদে চোখ বুলাতে দেখা যায়। এছাড়া, সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকুর সঙ্গে ছবি তুলতেও ছিলো শিশুদের ভীড়।

[৫] শৈশব প্রকাশের রুমানা আক্তার মুক্তা বলেন, শিশুদের আগ্রহের জায়গাগুলো চিন্তা করে আমরা কমিক্স, ছোট গল্প, ছড়া, ভূতের গল্পের বই নিয়ে এসেছি। শুক্রবার হিসেবে মেলায় শিশুদের আগ্রহ বেশ ভালো। এবার মেলা নিয়ে আমরা আশাবাদী।

[৬] এদিকে বিকেলের পর থেকে মেলায় আগতদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলা প্রাঙ্গণে বই কেনার চেয়ে আড্ডা আর ছবি তোলায় বেশি আগ্রহী দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

[৭] নওরোজ কিতাবিস্থান প্রকাশনীর তামিম রাজী বলেন, এবছর আমাদের প্রায় ৫০টির মত নতুন বই আসবে, এর মধ্যে আজকে ৩ টি নতুন বই চলে এসেছে। মেলা যেহেতু মাত্র শুরু তাই পাঠকের চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। তবে শুক্রবার মেট্রোরেল চালু থাকলে আরও বেশি পাঠক সমাগম হত। ঘুরেফিরে মেলার বেশিরভাগ প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা শুক্রবার মেট্রোরেল চালু রাখার কথা বলেছেন।

[৮] তবে মেলার দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি অনেক প্রকাশনীর স্টলের কাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে কয়েকটি স্টলে চলছে সাজসজ্জার কাজ, আবার কোথাও এখনও হাতুড়ি পেরেকের ঠুকঠাক আওয়াজ। এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি লিটল ম্যাগ চত্বর। শুক্রবার এ চত্বরের অর্ধেকের বেশি স্টল ছিল ফাঁকা। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে স্টল নির্মাণ ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী। এ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন মেলায় আগত পাঠকরা।

[৯] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মেলার দুদিন পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ এখনও মেলার অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ছে।

[১০] অন্যদিকে বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : মহাকবি আলাওল শীর্ষক’ আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইমন জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মিল্টন বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. আবুল কাসেম।

[১১] বাংলা একাডেমি জানায়, শুক্রবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৩১টি। এরমধ্যে ১০টি উপন্যাস, ৮টি কবিতার বই, ৩টি প্রবন্ধ, ১টি শিশুতোষ গল্প ও ১টি গল্পের বই রয়েছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়