কারো হাত ধরে হেঁটে এসেছিলাম
একাকীত্বের এই ধরণীতে, পরিচয় নিয়ে।
কিন্তু আজন্মার চির চেনা পথে আমি হেঁটেছি বহুকাল।
হেঁটেছি তোমাদের ভিড়ে তুমি হয়ে অথবা তোমাদেরই ছাঁয়া হয়ে।
হিংসুটে রোদকে ছাতা বানিয়ে আমি হেঁটেছি,
হেঁটেছি মেঘ কন্যার অশ্রু বিসর্জনের দিনে।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যখন নীঁড়ে ফেরা পাখির সাথে আমি ঘরে ফিরতে চেয়েছি, ঠিক তখনই একদল গাংচিল আমার পথ ভুলিয়ে দিয়ে গেছে।
তারপরও আমি আবার হেঁটেছি। নতুন পথে, নতুন উদ্যমে !
যে পথে কেউ কোনদিন হাঁটেনি, হয়ত আর হাঁটবেও না।
অচেনা পথে হেঁটে হেঁটে আমি নিজেকে খুঁজেছি-
কখনো শুকনো একটা পাতার মাঝে, দমকা বাতাসের মাঝে, আবার এক বিন্দু বালির মাঝে।
নিজেকে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে যখন আমি আবার হাঁটা শুরু করেছি !
তখনই বুঝেছি, পথ ভুলে পথিকের দুঃস্বপ্নে নিজেকে আমি হারিয়ে ফেলেছি !
তারপরও আমি হেঁটেছি চেনা-অচেনা পথে,
কখনও নিজের ছাঁয়ার প্রেমিক সেঁজে, কখনও বা ভীষণ একলা হয়ে।
সব হারিয়ে যখন আমি ঘরে ফিরব বলে ভেবেছি, তখনি মনে পড়ছে, আমারতো কোন ঘরই ছিল না কোনদিন।
ঘর বলে আমি যে চার দেয়ালের কামরাটাকে চালিয়ে দেই তা আসলে কেবল শুন্যতার কারাগার মাত্র !
যে কারাগার থেকে পালিয়ে আমি একদিন হাঁটা শুরু করেছিলাম-হেঁটে এসে পুনরায় সেই কারাগারবাসীই হলাম।
হাজারো মানুষের সাথে হেটে শত দারিদ্রতা আর ঐশর্য্য থাকা সত্ত্বেয় পরিশেষে, একাকীত্বকেই ফের সঙ্গি করে ছাড়তে হল আমায়, সুন্দর এ মায়ার ভূবন।
আপনার মতামত লিখুন :