শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২৩, ০৪:৫৮ দুপুর
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২৩, ০৪:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেড়শ বছর আগে ডেঙ্গুর ভয়ে রবীন্দ্রনাথের পরিবার কলকাতা ছেড়েছিলো

মুসবা তিন্নি: [২] ১৮৭২ সাল, রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ১২ বছর। স্কুলে বাংলা শিক্ষা শেষ করে মাত্রই বেঙ্গল স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। এমন সময় কলকাতায় বিভীষিকা আকারে দেখা দিল ডেঙ্গজ্বর; ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ল পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও। সূত্র: প্রথম আলো 

[৩] ১৮৭২ সালের ৮ মে নব গোপাল সম্পাদিত পত্রিকা ‘ন্যাশনাল পেপার’-এ লেখা হয়েছিলো, ‘ডেঙ্গু রোগ কলকাতার আবালবৃদ্ধবনিতা কাউকে ছাড়ছে না। এমনকি ইউরোপিয়ানরাও আক্রান্ত হচ্ছে। দেশীয় এমন কোনো পরিবার বাকি নেই যেখানে কেউ না কেউ এ রোগের শিকার হয়নি।’ ‘ন্যাশনাল পেপার’-এ ডেঙ্গু নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৭১ সালে। ওই সংবাদে ৫০০ জনের এতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার উল্লেখ ছিল। বাংলায় ১২৭৮ বঙ্গাব্দের (১৮৭১ সাল) আষাঢ়-শ্রাবণে এ ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে গেছিলো বলে জানা যায়।

[৪] তখনো ডেঙ্গু হলে এখনকার মতো জ্বর, গায়ে ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিত। মাত্র তিন-চার দিনে রোগী এমন দুর্বল হয়ে যেত যে পরে কিছুদিন তাকে একরকম পঙ্গু জীবন যাপন করতে হতো। ডেঙ্গুর প্রভাব সে সময় কতটা ভয়াবহ ছিল তা অনুমান করা যাবে একটি তখনকার জনপ্রিয় ‘সোমপ্রকাশ’ পত্রিকার কর্মচারীরা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় পত্রিকাটি কয়েক দিন হ্রস্ব-আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রপত্রিকা সূত্রে আরও জানা যায়, এই ব্যাধির প্রকোপে সে সময় বহু স্কুল-কলেজে ছাত্র-শিক্ষক উপস্থিতি কমে গেছিলো। ফলে একসময় প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়েছিল ছুটি ঘোষণা করতে।

[৫] ১৮৭২-৭৩ সালের বেঙ্গল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ১৮৭১ ও ’৭২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে কলকাতায় নোটিশ জারি করা হয়। মারাত্মক এ রোগ শীতের শেষে শুরু হয়ে গরমে বৃদ্ধি পেত এবং গ্রীষ্ম ও বর্ষায় সেটি মহামারি আকার ধারণ করত। অবশ্য বর্ষা  শেষে কমতে থাকত এর প্রকোপ।

[৬] ১৮৭২ সালের (১২৭৯ বঙ্গাব্দ) গ্রীষ্মে যখন রোগটির সংক্রমণ সর্বব্যাপী হতে শুরু করে, সে সময় কলকাতার অবস্থাপন্ন পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিলো শহর থেকে কিছু দূরে, গঙ্গাতীরবর্তী বাগানে। আর ডেঙ্গুর কারণেই জীবনে প্রথমবারের মতো কলকাতার বাইওে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

[৭] ‘জীবনস্মৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘একবার কলকাতায় ডেঙ্গুজ্বরের তাড়ায় আমাদের বৃহৎ পরিবারের কিয়দংশ পানিহাটিতে ছাতুবাবুদের বাগানে আশ্রয় লইল। আমি তাহার মধ্যে ছিলাম।’ ১৮৭২ সালের ১৪ মে মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন রোববার পর্যন্ত পানিহাটির বাগানবাড়িতে  ছিলেন রবীন্দ্রনাথের পরিবার। সম্পাদনা: ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়