হোসাইন মোহাম্মদ : একজন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক অসীম হিমেল। তিনি এর আগে ৫ টি উপন্যাস লিখেছেন।ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল পাঠক মহলে তার বইগুলো। পেশায় চিকিৎসক হলে লিখেছেন সিদ্ধহস্তে। এবার অন্যপ্রকাশ থেকে তার ৬ষ্ট উপন্যাস 'ধুম্রজালে খেদু মিয়া' প্রকাশ হয়েছে। বইটি পাঠকমহলে তুমুল ঝড় তুলছে। সংগ্রহ করতে পারেন আপনিও। বইটি বইমেলায় অন্যপ্রকাশের ৩১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
বইয়ের যে বিষয়গুলো পাঠক হিসেবে আপনাকে কাছে টানবে, হৃদয় জাগাবে। ফরেনসিক মেডিসিনের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর হয়েও, পূর্বপুরুষের করা পাপের কারণে, আদিভৌতিক এক রহস্যময় জীবন যাপন করতে হয় খেদুমিয়াকে। যার ফলশ্রুতিতে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন প্যারানরমাল ঘটিত সমস্যার সাথে। সায়েন্স, যুক্তি, আবেগ, প্রচলিত প্রথা সব মিলিয়ে সমাধান দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা করেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই এক অশুভ ছায়ায় ফেলোশিপ বাতিল হয়ে যায় ডা. মিতুর। জীবন এলোমেলো করে হানা দেয় ভয়ানক এক মানসিক রোগ। যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় ডুয়েল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার। অপারেশান সাকসেসফুল হয়ে বাড়ী ফেরত যাওয়ার কিছুদিন পর অজ্ঞাত কারনে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সার্জন ব্লকে পড়েন মিতুর প্রফেসর শামস ইবনে মোহাম্মদ ডা.আলম। অন্যদিকে, অপারেশনের অপেক্ষায় আছে বিরল রোগে আক্রান্ত চেন্নাইয়ের চিকিৎসকদের কাছ থেকে ফেরত আসা ছোট্টমেয়ে দিবা।
মিতু এবং তার প্রফেসরের সার্জন ব্লকের কারন বিশ্লেষণ করে মুক্তির উপায় খুঁজতে গিয়ে খেদুমিয়া খুঁজে পান এক ভয়ঙ্কর পার্ভাটেড বা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের। যে মানুষকে কঠিন শারীরিক আঘাত করে বিকৃত আনন্দ পায়। একই সূত্রে গাঁথা রহস্যের এক নরমাল ও প্যারানরমাল সমান্তরাল এক্টিভিটি নিয়েই কাহিনী "ধূম্রজালে খেদুমিয়া "।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :