আল-আমিন শিবলী : লোকসংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২২ সালের কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক পেয়েছেন মো. মনিরুল ইসলাম (মধু স্যার)। রোববার (৬ নভেম্বর) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রতি বছর শিল্প শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ৫ করে গুণী ব্যক্তিকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০২২ সালের জন্য লোকসংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত মনিরুল ইসলামকে (মধু স্যার) সম্মাননা স্মারক, সনদ এবং নগদ অর্থে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম (মধু স্যার) একজন মাধ্যমিক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থ ঘরে ১৯৪০ সালে জন্ম তার। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে যখন প্রতি গ্রামে কালেভদ্রে দেখা মেলত একজন গ্রাজুয়েটের। সেই সময়ে লজিং থেকে ছাত্র পড়িয়ে ক্রোশ মাইল পেড়িয়ে খালি পায়ে হেঁটে কখনও দৌঁড়ে তিনি তার লেখাপড়া চালিয়েছেন নিজের অদম্য ইচ্ছেতেই।
পরিবার মধু মাস্টারকে লাঙ্গল হাতে দেখতে চাইত। কখনও কখনও লেখাপড়ার ইচ্ছে শক্তিকে দমন করার জন্য তার বইপত্র পানিতে ভিজিয়ে রাখতো। সেই পানি থেকে বইপত্র শুকিয়ে চোখের পানিতে ভিজিয়ে মনের আনন্দে গান বাঁধতেন এই (মধু স্যার)। সেই গান গলায় তুলে নিজেই সুর দিতেন মিষ্টি মধুর কন্ঠে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পেয়ে মধু স্যার বলেন, দেরিতে হলেও কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি কতৃক লোকসংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে পদক ও সম্মাননা পেয়ে আমি খুব খুশি। শিল্পকলা একাডেমির এ উদ্যোগ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি চিত্রকলা ইত্যাদি সৃষ্টিশীল কাজে উদ্যোগী করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি এই শিল্পকলা একাডেমিকে অর্ফিয়াসের বাঁশির সাথে তুলনা করি। যা একটি পুর্নাঙ্গ মানবতা বিকাশের এক সহায়ক সেন্টার। আমি এ সম্মাননার সঙ্গে সংযুক্ত সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
এএস/এএস
আপনার মতামত লিখুন :