ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন : চলতি বছর পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ‘অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখায় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি ধরে রাখতে নতুন করে আবেদন ও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম এ আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পাল্টে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করার সিদ্ধান্ত জানায় আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে ইউনেস্কো বলছে, অধরা সংস্কৃতির তালিকায় থাকা কোনো ঐতিহ্যের পরিবর্তনে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া থাকলেও বাংলাদেশ মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি৷
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে ইউনেস্কোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গতিশীল এবং জীবন্ত প্রকৃতি স্বীকার করে এমন পরিবর্তনের জন্য একটি স্পষ্ট পদ্ধতি রাখা হয়েছে।’
‘এই প্রক্রিয়ায় ২৪টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত কনভেনশনের গভর্নিং বডির কালচারাল হেরিটেজ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন৷ তবে, বুধবার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত ইউনোস্কোর কাছে নাম পরিবর্তনের কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জমা দেয়া হয়নি,’ বলেন ইউনেস্কোর ওই মুখপাত্র।
নাম পরিবর্তনের ফলে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা, এ বিষয়ে ইউনেস্কো কিছু জানায়নি।
এখন পর্যন্ত ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় ১৫০টি দেশের ৭৮৮টি ঐতিহ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে৷ এই তালিকায় বাংলাদেশের পাঁচটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ ২০০৮ সালে বাউল গান, ২০১৩ সালে জামদানি শিল্প, ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা, ২০১৭ সালে সিলেটের শীতল পাটি এবং ২০২৩ সালে ঢাকার রিকশা চিত্র এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়৷