মনিরুল ইসলাম: জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। পেয়েছেন তিন গুণী কবি। এরা হলেন কবি হাসান হাফিজ, কবি মতিন বৈরাগী ও কবি জুলফিকার হোসেন তারা।
পুরস্কার গ্রহণ করে কবি ও কালের কন্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ফ্যাসিবাদকবলিত একটা পকেট সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। এখন আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমি এই সংগঠনের সঙ্গে আছি এবং থাকবো।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুরস্কার একটা তিরস্কারে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশে। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারগুলো কলঙ্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অনেক গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়নি। অথচ অনেক অযোগ্য, স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী লোকদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেই কলঙ্ক থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের পুরস্কার বা সম্মাননা অনেক বেশি মুক্ত। স্বচ্ছ।কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নয়। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং অভিভূত। এর থেকেও বড় বিষয় হলো ২০২৪ সালের শহীদ পরিবারের হাত থেকে পুরস্কারটা নিতে পেরেছি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
কবিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা মো. গোলাম রহমান, শহীদ আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান এবং শহীদ ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার।
কবি হাসান হাফিজ বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে আরও হবে। সেটা আমাদের দেশের ভেতরে। বাইরে থেকে। প্রতিবেশী দেশ থেকেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সীমান্তে প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরছে, সেখানে যেন আমরা নিজ দায়িত্ব থেকে রুখে দাঁড়াই। এটা ২৩ জন উপদেষ্টা বা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়। দেশের স্বার্থে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য ১৮ কোটি মানুষকে প্রহরী হয়ে থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব মোকাবেলা করতে হবে।
কবিতায় পুরস্কার নিয়ে কবি মতিন বৈরাগী বলেন, এই পুরস্কার পেয়ে আমি বিস্মিত, মুগ্ধ। এতো বছর পরে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুনঃগঠিত হয়ে এই পুরস্কার দিয়ে আমাদের সম্মানিত করেছেন। তাদের সেই হৃদয় আছে কাউকে সম্মানিত করার। আমি তাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ এবং এজন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শাহীন রেজা। অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য লেখক, কবি, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।