শিরোনাম
◈ গণপ্রজাতন্ত্রীর পরিবর্তে সংবিধানে জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশের সুপারিশ  ◈ ফের মন্ত্রী হয়ে ফিরতে পারেন টিউলিপ সিদ্দিক! ◈ ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা ◈ এনসিটিবি’র সামনে ২ পক্ষের সংঘর্ষে বহু আহত (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে যে নির্মম অমানবিক গণহত্যা হয়েছে, সরকার তার বিচার করবে : আসিফ নজরুল  ◈ সংস্কারের প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশি, বাঙালি জাতির একটা সনদ, আমরা বুকে নিয়ে অগ্রসর হবো: প্রধান উপদেষ্টা ◈ মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারে বিটিআরসির নতুন নির্দেশনা ◈ ‘ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের মুক্তিতে আর কোন বাঁধা থাকছে না’ ◈ বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ধরা হবে, কিছু হয়েছে, ধরার পর আবার এক ওসি পালিয়েও গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কবি হেলাল হাফিজ যে আঘাত পেয়ে ছিলেন চিরকুমার

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের কাছে জগৎ-সংসার ছিল বড়ই তুচ্ছ। যদিও জীবনের সায়াহ্নে এসে তিনি এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপও করেছিলেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, কেন তিনি সংসার করেননি, কেন বেছে নিয়েছিলেন বৈরাগ্য জীবন।

মাত্র তিন বছর বয়সে মা হারান এ কবি। মায়ের মৃত্যুর পর বাবাই ছিলেন তার সবকিছু, কিন্তু সে বাবাও চলে যান ১৯৭৩ সালের ১৯ জুন। বাবার মৃত্যুর পর বড় একা হয়ে পড়েন হেলাল হাফিজ। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, থাকতেন ইকবাল হলে (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)। বাবার মৃত্যুর মাসখানেক পর সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটে তার জীবনে।

আর এ ঘটনা ঘটে তার প্রেমিকা নিয়ে। তার প্রেমিকার নাম ছিল হেলেন। হঠাৎ একদিন ওই প্রেমিকা তাকে ডেকে বলেন, কবি, তোমার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে। প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমিকাসহ গিয়ে বসলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে। তখন প্রেমিকা জানান, তিনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তার বাবা-মা তার বিয়ে ঠিক করেছেন।

ছোটবেলা থেকে হেলাল হাফিজ খুব সহনশীল ব্যক্তিত্বের ছিলেন। প্রচণ্ড সহ্যশক্তি ছিল তার। তাই ভেতরের ঝড় বুঝতে দিলেন না প্রেমিকা হেলেনকে। ওখান থেকে উঠে রিকশা নিয়ে সোজা হলে চলে গেলেন। ওটাই হেলেনের সঙ্গে কবির শেষ দেখা ও শেষ কথা ছিল।

সে ঘটনাই কবি হেলাল হাফিজকে চিরস্থায়ীভাবে সংসারবিমুখ করে ফেলে। তার আর ঘর হলো না, সংসারও হলো না।

কবি হেলাল হাফিজ সব সময় বলতেন, আমার জীবনে যারা আমাকে ভালোবেসেছেন, তাদের সবার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। আর যারা আমাকে ভালোবাসেননি, তাদের প্রতি আরও বেশি কৃতজ্ঞতা। কারণ তাদের অবহেলা, অনাদর, প্রত্যাখ্যান আর ঘৃণাই আমাকে কবি বানিয়েছে।

‘যে জলে আগুন জ্বলে’ খ্যাত এ কবি শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রাজধানীর শাহবাগের আবাসস্থল হোস্টেলে মার মরদেহ পাওয়া যায়।

হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলানিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়