শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] বাংলাদেশ সময় ২৫ জুলাই সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘মাইলস’ ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ। খবরটি জানিয়েছেন তার ভাই হামিন আহমেদ। তিনি জানান, শাফিনের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
[৩] হামিন আহমেদ বলেন, ‘হয়তো বেশ চাপ গেছে শাফিনের ওপর দিয়ে। ২০ জুলাই ভার্জিনিয়াতে তার একটা কনসার্ট ছিল। শোয়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার নানা অর্গান অকার্যকর হতে থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়।’
[৪] তিনি জানিয়েছেন, শাফিন আহমেদের মরদেহ ঢাকায় আনতে দ্রুতই আমেরিকার উদ্যেশে রওনা হবেন হামিন।
[৫] কিংবদন্তি এই ব্যান্ড তারকার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
[৬] উল্লেখ্য, শাফিন আহমেদের জন্ম সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি দম্পতির ঘরে। তার মা প্রথিতযশা নজরুলসঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা হলেন উপমহাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী, প্রসিদ্ধ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত। তার আর দুই ভাই হলেন একই ব্যান্ডের শিল্পী তাহসিন ও হামিন। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন শাফিন। সেসময় তার নাম রাখা হয় মনোজিৎ দাশগুপ্ত। তারপর বাংলাদেশে এসে স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শাফিন আহমেদ।
[৭] ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’। এর কিছুদিন পর এতে যুক্ত হন শাফিন ও হামিন। এরপর ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’ ও ‘কি যাদু’সহ অসংখ্য শ্রোতানন্দিত গান উপহার দিয়েছেন তারা। ব্যান্ডের বাইরেও শাফিনের অসংখ্য গান রয়েছে।
[৮] অন্যদিকে, সংগীতের পাশাপাশি শেষ দিকে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন শাফিন আহমেদ। ২০১৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (এনডিএম) যোগ দেন। এরপর ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টিতে যুক্ত হন। দুই দলেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন শাফিন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :