শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে এই শোভাযাত্রায় অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করে আলো জ্বালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ।
[৩] রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। পরে সেটি শাহবাগ হয়ে ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসে সকাল দশটার দিকে শেষ হয়। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় ছিল ভিন্নতা। ঢাক-ঢোলের বাদ্য ছিল। ছিল বাহারি আয়োজন। হাতির পাশাপাশি অশুভ শক্তির রূপক হিসেবে নানা পশু-পাখির আকৃতিতে বানানো শিল্পকর্ম নজর কেড়েছে। প্রথমে জাতীয় সংগীত গেয়ে এবারের শোভাযাত্রা শুরু করা হয়।
[৪] শোভাযাত্রায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। এছাড়াও বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরণ, বিভিন্ন রঙয়ের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে জমায়েত হন হাজারও মানুষ। প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এ সময় তাদেরকে ঢাক-ঢোলের বাদ্যে নেচে-গেয়ে নববর্ষকে বরণ করতেও দেখা যায়।
[৫] শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের কম বেশি সবার গায়ে বৈশাখের পোশাক ছিল। ছিল লাল গামছা ও হাতে বাঁশি। নারীরাও পরেছিল বৈশাখের পোশাক। লাল সাদা প্রিন্টের শাড়ি, পায়ে ছিল ঝুমুর আর খোপায় কেউ কেউ বেঁধেছিল গোলাপ ফুল।
[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে শাহবাগ-রমনা এলাকায় এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :