শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৮:৩৪ রাত
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৮:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন

আর হাসান: [২] সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় দেড় শতাধিক প্রার্থীর অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন হয়।

[৩] সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন প্রার্থীদের একটি অংশ। একই সঙ্গে ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে এ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তারা।

[৪] মানববন্ধনে বরিশাল বিভাগের প্রার্থী ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়।

[৫] তিনি আরো বলেন, তড়িঘড়ি পরীক্ষা নেওয়ায় অনেক প্রার্থী প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএসও পাননি। প্রবেশপত্র তুলতে না পেরে অনেকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারেননি। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতি হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রশ্নপত্র বাইরে চলে গেছে। এটা গণমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিটও করবো।

[৬] এর আগে আন্দোলনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত বরাবর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আবেদন করেন।

[৭] মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। ১ম পর্বের ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল, নির্বাচনের পর সুষ্ঠু ও কঠোর নিরাপত্তায় পরীক্ষা গ্রহণ, ডিভাইস ও অবৈধচুক্তি-মুক্ত পরীক্ষা, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া, এবং জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।

[৮] ফাতিমা আখতার সাথীর সভাপতিত্বে ও হারুন উর রশিদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রথম ধাপের প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শিক্ষার্থী মো. আবু সালেহ খান, আকাশ রয়, আনোয়ার খান প্রমুখ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

আরএইচ/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়