লাইফস্টাইল ডেস্ক: চলছে গ্রীষ্মের ফলের ভরা মৌসুম। আম, জাম, কাঁঠাল, বেল, তরমুজ, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি ফল খাওয়ার এখনই তো সময়। আম প্রায় বেশিরভাগ মানূষের একটি পন্দের ফল। আম ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হোক কাঁচা কিংবা পাকা। আমের শাঁসালো অংশ খেয়ে আঁটি আর খোসা আমরা ফেলে দিই। কিন্তু আমের খোসাও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ; এটা অনেকেই জানে না। শুধু আমই নয়, এর খোসাতেও রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ।
পুষ্টিগুণে ভরপুর আমের খোসায় ভিটামিন এ, সি, কে, প্রোটিন, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি ৬ এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফলটি বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের বাঁচতে সাহায্য করে। শুধু আমই নয়, এর খোসাতেও রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ। শুধু তাই নয়, আমের খোসা অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারেরও দারুণ উৎস। এসব উপাদান আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, আমের খোসা স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে।
হার্ট ভাল রাখে: হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে আমের খোসা দারুণ কার্যকরী একটি ফল। গবেষণায় অনুযায়ী, আমের খোসা ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক্সের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগগুলো শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে স্থূলতা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডিসলিপিডেমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমায় : আমের খোসায় পেকটিন ফাইবারও পাওয়া। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আমের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি কতটা কার্যকরী, তা আমরা সবাই জানি।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো: আমের খোসা, বিশেষ করে পাকা আম ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। ত্বক ও চুল ভাল রাখতে এই ভিটামিন খুবই কার্যকর। ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ এবং প্রদাহও দূর করে। এছাড়াও, আমের খোসা চুলের বৃদ্ধি এবং স্ক্যাল্প ভাল রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : আমের খোসায় রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যেও রয়েছে। যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি থেকেও বাঁচায়। পাশাপাশি আম শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যার ফলে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয়। সূত্র: বাংলানিউজ