শাহীন খন্দকার:[২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোগীদের প্রায় সবাই ২০-৪৫ বছর বয়সী। তবে পেটের প্রদাহজনিত রোগীর ৬০ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ শতাংশ নারী। অর্থাৎ তরুণদের মধ্যে রোগটির প্রকোপ বেশি। তবে একেবারে কম বয়স থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সীদেরও এ রোগ হতে পারে।
[৩] বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা.মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পেটের প্রদাহজনিত রোগ আইবিডি নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এই রোগে ভুগছেন। পরিপাকতন্ত্রের এই রোগের মাধ্যমে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। আইবিডি বা পেটের প্রদাহজনিত এই রোগ নিরাময়যোগ্য না হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং আগেভাগে রোগটি চিহ্নিত হলে ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
[৪] বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিশ্ব আইবিডি দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত র্যালি শেষে শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো আইবিডি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।
[৫] সেমিনারে ‘আইবিডি এক্সপ্রিয়েন্স ইন বিএসএমএমইউ’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও আইবিডি ফ্রি ট্রিটমেন্ট ক্লিনিকের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ক্লিনিকটি পরিচালনা করছি।
[৬] ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ আরো বলেন,পেটের প্রদাহজনিত রোগ বা আইবিডি বলতে দুটি আলাদা রোগ আলসারেটিভ কোলাইটিস ও ক্রোনস ডিজিজকে বোঝায়। গত পাঁচ বছরে ৬১৭ জন রোগী নিবন্ধিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯০ জন ক্রোনস ডিজিজ ও ৩২৭ জন আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগী রয়েছেন।
[৭]গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আনওয়ারুল কবীর এর সভাপতিত্বে ও রেডিয়্যান্ট ফার্মাসিউটিক্যালস এর সহায়তায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :