মাজহারুল ইসলাম: [২] শুরু হয়েছে আমের মৌসুম। এ সময়ে অধিকাংশ ক্রেতাই নিজের অজান্তে কিনছেন রাসায়নিকযুক্ত অপরিপক্ক আম। তাই ভালো আম চেনার উপায় জানতে হবে।
[৩] বিশেজ্ঞদের মতে আম কেনার পর কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেওয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবে না। আর পরিপক্ক আম চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পাকা আম সাধারণ হলুদাভ হয় এবং পানিতে রাখলে ডুবে যায়।
[৪] লক্ষ্য রাখতে হবে, যে স্থান থেকে আম কেনা হচ্ছে, সেখানে রাখা আমে মাছি বসছে কিনা। কেননা ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
[৫] গাছ পাকা আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর। কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম, দাগহীন ও আগাগোড়া হলদেটে। কারণ, আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। অন্যদিকে, গাছ পাকা আমের দাগ পড়বেই।
[৬] আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে তারপর কিনতে হবে। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছাকাছি ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেওয়া আমে মিষ্টি গন্ধ তো থাকবেই না, উল্টো বিচ্ছিরি গন্ধ বের হবে। আম খাওয়ার সময় যদি টক, মিষ্টি কোনো স্বাদ না পেয়ে পানসে স্বাদ পান, তাহলে বুঝবেন আমে ওষুধ দেওয়া। এবড়ো-থেবড়ো নয় এমন আম কিনতে হবে। যে আমের খোসা কুঁচকে গেছে সেটি কেনা যাবে না।
[৭] প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটলে এর ভেতরের শাসটি হবে লালচে হলুদ রঙের। কিন্তু ফরমালিন যুক্ত আমের ভেতরের অংশটি হবে হালকা অথবা গাঢ় হলুদ রঙের। এর মানে হলো বাইরে থেকে আমটি পাকা দেখালেও ভেতরটি পাকা নয়।
[৮] প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম বেশ মিষ্টি হয় এবং এতে অনেক বেশি রস থাকে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে রস অনেক কম হয়। ভেতরটা পাকা থাকে ঠিকই কিন্তু রস কম পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :