এ্যানি আক্তার : শীতকাল আসার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় নান রকম সমস্যা। ত্বক,মাথার চুল এই দুটোর সমস্যা একটু বেশি দেখা দেয়। তাই এই গুলোর সমস্যা সমাধান করার জন্য বেশি বেশি করে যত্ন নিতে হবে। তাই সময় থাকতেই সচেতন হলে এড়ানো যায় ত্বকের শীতকালীন সমস্যা।
শীতে যেভাবে যত্ন নিবেন -
১. শীতকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। তবে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা ভালো।
২. গোসলের আগে নারিকেল, সরিষা অথবা অলিভ অয়েল তেল লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে।
৩.গরমকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও, অনেকেই শীতকালে সেটা মাখার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু শীতকালে সূর্যের তাপ অনেক বেশি থাকে। তাই সানস্ক্রিন মেখে তবেই বাহিরে যাওয়া ভাল।
৪. শীতের দিনে প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব রুক্ষ থাকে চারদিকে ধুলা থাকে তা বাতাসে উড়ে তকে ময়লা জমায়। ডিপ ক্লিনজ়ার দিয়ে দিনে দু’বার ত্বক পরিষ্কার করা দরকার।
৫. স্কুল-কলেজ-অফিসের চাপে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কথা মনেই থাকে না। তাই বাড়িতে আসার পর ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার ভাল কোন ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে ত্বকে সারা দিনের ক্লান্তি কাটিয়ে আবার উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
৬. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাত-পা ভাল করে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ়ার লাগাতে হবে।
৭. শীতকালে পানি খাওয়া কমে যায়। এতে শরীর ড্রাই হয়ে যায়। ত্বকে এর প্রভাব পড়ে খুব বেশি। শীতকালেও বেশি করে পানি খেতে হবে। সঙ্গে মৌসুমি ফল খেতে হবে।
৮. শীতকালে ফেস মাস্ক লাগালে ত্বক থাকে টানটান, মসৃণ ও নরম। অলিভ অয়েল, কলা, দই ও এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে বাড়িতেই মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন।
৯. শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়াটা আরও একটা বড় সমস্যা। ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন অথবা গ্লসি লিপস্টিক লাগালেও ঠোঁট নরম থাকে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে লিপবামও ব্যবহার করতে পারেন।
১০. এ সময়ে ত্বকে মৃত কোষ বাড়ে। সে জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করাও দরকার। মুসুর ডাল বাটা বা বেসন দিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন।
এএইচ/এএইচ