আপনার মুখে ব্রণ হওয়ার পেছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ আছে। তবে গুটিকয়েক বাক্যে বলে তা শেষ করা যাবে না। তাই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের সমস্যা সমাধান করলে এ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
সাধারণত আমরা ব্রণ হওয়ার পেছনে যে কারণ খুঁজে পাই, তা হচ্ছে— লিভারে জমে থাকা টক্সিন। আর হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। মূলত ব্রণ হওয়ার পেছনে এ দুটোই বড় কারণ হিসেবে বুঝি। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ব্রণ কমিয়ে দিতে পারে আদা।
আর তাই গলা খুশখুশ করছে, এক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। মাথাব্যথা কমাতে আদা চা খান। আবার পেটের গণ্ডগোল হলে, তখনো আদাই ভরসা। তা হলে ব্রণের চিকিৎসায় আদার সাহায্য কেন নয়? আর তাই আপনি আদার রস খেয়ে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আদা যে উপায়ে ব্রণের সমস্যা দূর করে—
আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ, জ্বালা ভাব কমাতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে জিঞ্জেরল রয়েছে। এই বায়ো-অ্যাকটিভ যৌগই ব্রণ-প্রবণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে আদার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো।
এ ছাড়া আদা হজমজনিত সমস্যা দূর করে। লিভারে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। তাই পেটের সমস্যার জন্য যদি ব্রণ হয়, সেটিও কমে যাবে আদার রস খেয়ে। তা ছাড়া আদা দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। আদা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমায়। এর জেরেও ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমে যায়।
অন্যদিকে আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ব্রণের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। পাশাপাশি ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
দুই ইঞ্চি আদা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। মিক্সিতে আদা পেস্ট করে এর রস বের করে নিন। এবার সেই আদার রসে ২-৩ চামচ পানি, ১ চামচ লেবুর রস, এক চিমটে হলুদগুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এই আদার শট পান করুন। এতেই ব্রণ ও ত্বকের সমস্যা দূর হবে।
আপনার মতামত লিখুন :