শিরোনাম
◈ পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, হচ্ছে মামলা, বেশির ভাগই ভারতে অবস্থান করছেন ◈ আওয়ামী লীগ এখনই নিষিদ্ধ নয়, তবে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে : উপদেষ্টা নাহিদ ◈ ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০৫ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজের অজান্তেই এই ১০ অভ্যাসে গরিব হয়ে যাচ্ছেন না তো?

আধুনিক জীবনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অনেকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে গরিব হয়ে যাচ্ছি। নিচে উল্লেখ করা হলো ১০টি অভ্যাস, যেগুলি আপনার আর্থিক পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

১. অপ্রয়োজনীয় খরচ করা: প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ছোটখাটো খরচ যেমন কফি, স্ন্যাকস বা অনলাইনে কেনাকাটা আপনার বাজেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পরিকল্পিত খরচে নজর দেওয়া জরুরি।

২. ঋণের বোঝা: অতি সহজে ঋণ নিয়ে নেওয়া এবং তা পরিশোধে অযোগ্য হওয়া। এই অভ্যাস আপনার মাসিক বাজেটে চাপ সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করে।

৩. সঞ্চয়ের অভাব: সঞ্চয় করা না হলে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। মাস শেষে যদি সঞ্চয় করার সুযোগ না থাকে, তবে এটি অজান্তেই আপনার গরিব হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

৪. বিনিয়োগের অভাব: বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া যায়। কিন্তু যদি আপনি সঠিকভাবে বিনিয়োগ না করেন, তবে আপনার অর্থের মূল্য হ্রাস পেতে পারে।

৫. বাজেটের অভাব: অর্থ খরচের জন্য একটি পরিকল্পনা বা বাজেট তৈরি না করা। এটি আপনার খরচের প্রতি অসচেতনতা তৈরি করে, যা পরে গরিব হওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

৬. অত্যধিক বিলাসী জীবনযাপন: সামাজিক পরিবেশের প্রভাব বা বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক জীবনযাপন আপনার অর্থনৈতিক অবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি আপনার বাজেটের বাইরের খরচ বাড়াতে পারে।

৭. অস্থায়ী উপায়ে খরচ: উচ্চ মূল্যবান জিনিসপত্র কেনার জন্য অস্থায়ী উপায়ে অর্থ খরচ করা। যেমন: ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা। এটি আপনার ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত করে।

৮. চিকিৎসা খরচে অদক্ষতা: স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে অবহেলা করা। অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ আপনার বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

৯. অপ্রয়োজনীয় সদস্যপদ: বিভিন্ন ক্লাব বা সদস্যপদ নেওয়া, যা আপনার কাজে আসে না। এটি আপনার মাসিক খরচকে বৃদ্ধি করে এবং আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

১০. অর্থনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব: অর্থ ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের মৌলিক ধারণা না জানা। এই অভাব আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম করে এবং অবশেষে আপনার গরিব হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

নিজের অজান্তেই গরিব হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, কিন্তু সচেতনতার মাধ্যমে এটি এড়ানো সম্ভব। আপনার অভ্যাসগুলি পুনর্মূল্যায়ন করুন এবং সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য এই ১০ অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। সচেতনভাবে আপনার খরচ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের দিকে নজর দিলে, আপনি আরও সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারবেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়