পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলে চাকরি করার স্বপ্ন অনেক তরুণের। তবে সবার ভাগ্যে এই চাকরি জোটে না। তবে কি খুব কি কঠিন গুগলে চান্স পাওয়া? একেবারেই না, জানাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গুগলের অধুনা সিইও সুন্দর পিচাই । কীভাবে গুগলের কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি কর্মীদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে তা জানিযেছেন পিচাই নিজেই। কী যোগ্যতা লাগে গুগলে চাকরি পেতে? আসুন জেনে নেই।
গুগলে চাকরি পাওয়া লাখ লাখ পেশাদারের জন্য একটি স্বপ্ন। কিন্তু টেক জায়ান্টে চাকরি পাওয়া এত সহজ নয়। প্রার্থীদের সাহায্য করার জন্য গুগলের সিইও খোলাখুলি জানালেন ভেতরের কথা। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কী কী প্রয়োজন সে সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেছেন।
সম্প্রতি দ্য ডেভিড রুবেনস্টেইন শো: পিয়ার টু পিয়ার এর অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সুন্দর পিচাই। সেই শো চলাকালীন পিচাই জানান, গুগলে কাজ করতে চাইলে শুধু যুক্তিগতভাবে দুর্দান্ত হলেই চলবে না, মেধাবী হলে চলবে না, বরং মানিয়ে নেওয়া এবং শিখতে আগ্রহী হতে হবে।
পিচাই জানান, গুগল সেই সব ‘সুপারস্টার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের’ সন্ধান করে চলেছে তারা গতিশীল পরিবেশে উন্নতি করতে পারে। কর্মীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত করতেও উঠে পড়ে লেগেছিলেন পিচাই। গুগলের শুরুর দিনগুলোর কথা ভাগ করে নেন তিনি।
কোম্পানির ক্যাফেটেরিয়ায় বসে স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা যে কত উদ্ভাবনী ধারণার জন্ম দেয়, তা মনে করিয়ে দেন পিচাই। তার মতে চোখ কান খোলা রেখে সব সময় শিকঝতে হবে। সজাগ থাকলেই হওয়া যাবে সৃজনশীল। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আদানপ্রদানে ভীষণ ভাবে জোর দেয় গুগল, এমনই জানান পিচাই।
চাকরির বাজারে গুগলের অবস্থান কেমন?
জুন ২০২৪ পর্যন্ত গুগল ১ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে কাজ করে চলেছে। শীর্ষ প্রতিভাদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখে চলেছে এই সংস্থা। পিচাইয়ের মতে, প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থী যারা গুগল থেকে চাকরির অফার পান তারা গ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারের মধ্যেও গুগল নিজের শক্তিশালী আবেদন তুলে ধরে। পিচাই আরও উল্লেখ করেছেন যে গুগলে চাকরি পাওয়ার প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, প্রার্থীদের নিজেদের মৌলিকত্ব প্রদর্শন বা আলাদা করে প্রমাণ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :