অনেকের প্রেম চুম্বকের মতো। বিপরীত মেরুতেই যত আকর্ষণ। উলটো স্বভাবেই মানুষটাকেই যেন বেশি করে মন চায়। কিন্তু সম্পর্কের মধ্যে মতের অমিল হতেই থাকে। কারণে-অকারণে মতবিরোধ। এমন হলে সামলাবেন কেমন করে? উপায় সবকিছুরই রয়েছে। তিলকে তাল করার তো প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া এই পরামর্শগুলো মাথায় রাখুন।
বিশ্বাস রাখুন: বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর। যেকোনও সম্পর্কের (Relationship) ক্ষেত্রেই এই বাক্যটি গুরুত্বপূর্ণ। আর বিপরীত মেরুর দু’টি মানুষের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে প্রযোজ্য। একটু বিশ্বাস করে সঙ্গীকে ছাড়তে শিখুন না! আখেরে লাভ আপনারই হবে।
নিজের মতো থাকতে দিন: ‘গিভ মি সাম স্পেস’— কোনও হলিউড সিনেমায় এই কথাটি শুনেই থাকবেন। সত্যিই কখনও কখনও সম্পর্কে একটু দূরত্বের প্রয়োজন। খুব কাছাকাছি চলে এসে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাবে। আর তাতেই সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। উলটো দিকের মানুষটাকে একটু নিজের মতো থাকতে দেওয়া উচিত। এতে পারস্পরিক সম্মান বজায় থাকে।
আবেগকে সময় দিন: রাগ আর অভিমান সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শত্রু। সঙ্গীর কোনও কাজে আপনার রাগ বা অভিমান হয়ে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে রিঅ্যাক্ট করে ফেলবেন না। একটু আলাদা জায়গায় চলে যান। নিজের রাগ, ক্ষোভ, আবেগকে প্রশমিত হতে দিন। তাহলেই আপনি যুক্তি দিয়ে বিচার করতে সক্ষম হবেন।
পাশে থাকুন: হতেই পারে, আপনি যেটা করতে পছন্দ করেন না, তা আপনার সঙ্গীর পছন্দ। অনেক সময় ইচ্ছে না থাকলেও তাকে সঙ্গ দিন। একান্ত দেখতে ইচ্ছে না করলে সেখানে বসে নিজের ইচ্ছেমতো অন্য কাজে মন দিতে পারেন। কিন্তু পাশাপাশি তো থাকা হবে!
মিল খুঁজুন: বিপরীত মেরুর মানুষদেরও কিছু না কিছু তো মিল থাকে। সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। একান্ত না থাকলে তৈরি করুন। প্রয়োজনে কোনও ইনডোর গেম খেলতে পারেন। এতে সম্পর্ক আরও পোক্ত হবে।
নতুনত্বে ভয় পাবেন না: জীবন পরিবর্তনশীল। পরিবর্তন যদি ভালোর জন্য হয়, আর ভালোবাসার জন্য হয় তাকে আপন করে নিতে তো কোনও সমস্যা নেই। নতুনত্বকে ভয় পাবেন না। বরং তাকে মুক্ত মনে আলিঙ্গন করুন।
আপনার মতামত লিখুন :