মাজহারুল ইসলাম: প্রত্যেক বছর অসচ্ছল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়ার সুযোগ দেয় সরকার। সেই সুযোগে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদের ইমামসহ ২৫০ থেকে ৩০০ ব্যক্তি প্রতিবছর সরকারি খরচে হজে যেতেন। হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়ার লাগাম টেনেছে সরকার। এবার রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যারা যাচ্ছেন, তাদের বিমান ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। ঢাকা পোস্ট
রাষ্ট্রীয় খরচে এবার হজে যাচ্ছেন- ঢাকার বড় মগবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রী আফিয়া হোসেন, রংপুরের মো. বাদশা আলমগীর, জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল গফুর ও তার স্ত্রী জোবাইদা বেগম, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস খান, রংপুরের মো. আব্দুল কায়েম মিয়া, মাগুরা সদরের এস এম ফরিদ উজ-জামান ও তার স্ত্রী দিলশান আরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারী মো. রাশেদুন নবী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসি মেকানিক মো. ইউসুফ আলী ও তার স্ত্রী জান্নাত আরা।
এছাড়া আরও যাবেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরবরিকালচারের মালী সাহেব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংলগ্ন স্টাফ কোয়ার্টার্সের সখিনা আক্তার, গোপালগঞ্জের মো. এনামুল হক শেখ, গুলশানের গাজী শাহাদাৎ হোসেন, কুমিল্লার মো. নুরুল ইসলাম, রাজধানীর উত্তর আদাবরের অধ্যক্ষ (অব.) পিএম মনসুর রহমান, গাইবান্ধার মো. নুরুল হোসেন খন্দকার, ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীর জামাল উদ্দিন মো. আকবর ভূঁইয়া, জয়পুরহাটের দেওয়ান মাহবুবার রহমান এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শাহাদাৎ শেখ।
শনিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি খরচে হজ পালনকারীদের তালিকা প্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী এ তালিকা প্রকাশ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকাসহ প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাওয়া তালিকায় ২৩ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকার ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের মধ্যে বিমান ভাড়া ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর সম্মতি দেওয়া হলো। রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনের জন্য মনোনীতদের বিমান টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা দিতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারী ব্যক্তিরা বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে সম্ভাব্য আগামী ১০ জুন (আগে বা পরে) সৌদি আরব যাবেন। একইভাবে বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুলাই বাংলাদেশে ফিরবেন তারা। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমআই/এসএইচবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :