মানুষের জীবনে স্বাস্থ্য অমূল্য সম্পদ। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হালাল ও পুষ্টিকর খাবার খেতেন। তার পছন্দের খাবার সম্পর্কে হাদিস থেকে জানা যায়।
এখানে নবীজির পছন্দের ৩ খাবার তুলে ধরা হলো:
তামার (খেজুর)
আরব মরুভূমির দেশ। প্রধান খাদ্য খেজুর ও রুটি। নবীজি ফল পছন্দ করতেন। তার প্রিয় ফল খেজুর। খেজুর যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে অপরিসীম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বার্লির এক টুকরো রুটির ওপর একটি খেজুর রাখতে দেখেছি। তারপর বলেছেন, ‘এটিই সালন-মসলা।’ (আবু দাউদ: ৩৮৩০)।
রসুল কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর নিজেও পছন্দ করতেন, সাহাবায়ে কেরামকেও খেজুর খেতে বলতেন। খেজুর খাওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাও বলেছেন,
যে ঘরে খেজুর নেই সে ঘরে খাবার নেই। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে বাড়িতে খেজুর নেই, সে বাড়ির অধিবাসীরা অভুক্ত। (আবু দাউদ: ৩৮৩১)।
খেজুরে রয়েছে খনিজ লবণের উপাদান যা শরীর সতেজ রাখে।
হালিব (দুধ)
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী দুধ। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে দুধ অতুলনীয়। দুধে থাকে ভিটামিন বি-১২। রাসুল (সা.) নিয়মিত দুধ পান করতেন। দুধের উপকারিতা অনেক, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, ভালো ঘুম, হাড় মজবুত, ত্বক সুন্দর করাসহ উপকারিতার ফিরিস্তি অনেক বড়।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
মেরাজের রাতে বায়তুল মাকদিসে আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে বের হলে জিবরাইল (আ.) আমার সম্মুখে শরাব ও দুধের আলাদা দুটি পাত্র রাখেন। আমি দুধের পাত্রটি নির্বাচন করি। জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘আপনি প্রকৃত ও স্বভাবজাত জিনিস নির্বাচন করেছেন।’ (বুখারি: ৩১৬৪, তিরমিজি: ২১৩)।
আসাল (মধু)
মধু আল্লাহর বিশেষ নিয়ামতগুলোর একটি। তাতে রয়েছে শেফা। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন। (বুখারি: ৫১১৫, মুসলিম: ২৬৯৫)।
মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে। মধুকে বলা হয় খাবার পানীয় ও ওষুধের সেরা। ডায়রিয়া হলে হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। বুখারি শরিফের আরেকটি হাদিসে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মধু হলো উত্তম ওষুধ।’ (হাদিস: ৫৩৫৯)।